
বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে ২৪টির অধিক বিপদজনক বালাইনাশক চিহ্নিত করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের ঝুঁকি কমাতে সক্ষমতা উন্নয়ন করতে হবে। গ্লোবাল এনভাইরোনমেন্ট ফেসিলিটির অর্থায়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থার কারিগরী সহায়তায় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কীটতত্ব বিভাগের বাস্তবায়নে গতকাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের মোট ১০০ জন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তাদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়। বালাইনাশক ব্যবহারেরবর্তমান অবস্থা, বিভিন্ন পোকা বা বালাই দমনে বালাইনাশক নির্বাচনের মৌলিকনীতিসমূহ, বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের সংখ্যা, মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব, অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের বিকল্প এবং মাঠপর্যায়ে এই সকল বিপদজনক বালাইনাশকের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কিভাবে সক্ষমতা উন্নয়ন করা যায় সেই সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কর্মকর্তারা তাদের মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা এবং বালাই দমনের বিভিন্ন সমস্যাদি তুলে ধরেন। তারা বলেন বাংলাদেশে কতগুলি অধিক বিপদজনক বালাইনাশক রয়েছে এবং তাদের বিকল্পসমূহ কি কি হতেপারে সে বিষয়ে এতদিনপর্যন্ত তাদের কোন ধারণাছিলনা কিন্তু এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। বিশেষকরে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের সংখ্যা, মাঠ পর্যায়ে তাদের ব্যবহার, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে গভীর জ্ঞান লাভ করেন। এছাড়াও একাধিক বালাইনাশকের মিশ্রণ বা ককটেল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলি, কার্যকর বালাই দমনে স্প্রে ড্রপলেটের ভূমিকা, উত্তম কৃষিপরিচর্যা ইত্যাদি সম্পর্কে ও শিখেন । প্রশিক্ষনার্থীরা বলেন, বালাইনাশকের উপর এই ধরণের প্রশিক্ষণ তারা এর আগে কখনো পাননি, তাই একদিনের পরবর্তীতে আরো বেশি সময় নিয়ে এই প্রশিক্ষণ প্রদানের দাবি জানান। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদানেরমাধ্যমে প্রশিক্ষণের শুভ সূচনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: আজিজুর রহমান। টিম লিডার ও বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কীটতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস। এছাড়াও অধ্যাপক ড. মো: রমিজউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো মাহবুবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।