ফিলিস্তিন
হিন্দুস্তান বার্মাসহ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবীতে
আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াতের অনুসারীরা ২৬ এপ্রিল শনিবার ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে বিশাল
গণজমায়েত করেন। অনেক প্রতিকূলতার মাঝে লক্ষ লক্ষ সুন্নী জনতা এ সমাবেশ
যোগদান করেন বলে জানান আয়োজক কমিটি।
২৬ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ
সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলে ও ডিএমপি কমিশনার ২৪ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
সমাবেশ বাতিল করে গোলাপবাগ করার অনুমতি দেন। ২৫ তারিখ রাতে গোলাপবাগ আবার ও
বাতিল করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজন করার অনুমতি দেন।
বাংলাদেশ
অনেক দরবারে পীর সাহেবগণ তার অনুসারীদেরকে নিয়ে সমাবেশে যোগদান করেন।
সমাবেশটি প্রেসক্লাবের চারদিক হয়ে হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন, দৈনিক বাংলার মোড়,
বায়তুল মোকাররম, জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্তান এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
সকাল
১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সমাবেশ হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সকাল ৮ টার মধ্যে
এসব এলাকায় মানুষের ভীড় দেখা যায়। আয়োজকরা জানান, সমাবেশ ১১ টার সময় বন্ধ
করতে বাধ্য হয়েছি। এ সমাবেশ দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের অসংখ্য ভক্ত
মুরিদান সমাবেশ যোগদান করেন। এ ছাড়া ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনা ও যুব
সেনার নেতা কর্মীরা স্বত:স্ফুর্ত ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। সমাবেশে মাওলানা
সৈয়দ মছিহুদ্দোলাহ, মুফতি মাওলানা অছিয়ুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম ফজলুল
হক, মাওলানা ডঃ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী,পীর আবুল কাশেম নুরী,প্রফেসর
জালাল উদ্দিন আজহারী, মাওলানা হাসান আজহারী, মাওলানা রহিম আজহারী,অধ্যক্ষ
আখতার হায়দার, মাওলানা আবু সুফিয়ান আল কাদেরী, এনসিপি নেতা হাসান, মাওলানা
মাসুদ হোসেন আল কাদেরী, মুফতি মনজুর হোসেনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। কোন
রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে বিশাল গণজমায়েত টি শেষ হয়। বক্তারা
সরকারের কাছে ফিলিস্তিন ও হিন্দুস্তানের বিষয় নানাহ দাবী তুলে ধরেন এবং
ইসারাইলের পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেন। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াতের ব্যানারে ঢাকায় বিভিন্ন ইস্যুতে সমাবেশ করবেন বলে নেতারা জানান।