কুমিল্লার
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নাথেরপেটুয়া ইউনিয়ন বাতাচোঁ গ্রামে শোভা আক্তার সুমি
(২৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে উখিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি
ঘটেছে।
নিহত শোভা আক্তার সুমি বাতাচোঁ গ্রামের শফিক মিয়ার কন্যা এবং
একই গ্রামের মমতাজ মিয়ার ছেলে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আকবর
হোসেন শান্ত (২৮) এর স্ত্রী।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২৮ এপ্রিল)
বাতাচোঁ গ্রামে ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের নাথেরপেটুয়া স্টেশন
বাজার মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযুক্ত
আকবরের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী জানায়। এতে স্থানীয় গন্যমান্য
ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে।
জানা যায়, উখিয়ায় একটি ওষুধ
কোম্পানি কর্মরত ছিল আকবর। সেই সুবাদে সেখানে একটি বাসা ভাড়া করে
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছে। প্রায় ৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের
একটি দু’ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে স্বামী শান্ত পরকিয়া
প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়াঝাঁটি চলে
আসছিল।
সর্বশেষ রোববার বিকেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে
পাষন্ড স্বামী শান্ত স্ত্রী সুমিকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে উখিয়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সুমিকে মৃত
ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ সুমির মরদেহ উদ্ধার করে।
হাসপাতাল
সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকাল ৫টার দিকে আকবর তার স্ত্রীকে হাসপাতালের
জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে এবং সুমি নিহত হওয়ার বিষয়টি অনুমান করতে পেরে,
কিছুক্ষণ পর কোলের শিশু সন্তানসহ সেখান থেকে চলে যায় সে। সুমির মরদেহের চোখ
ও কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
নিহতের
পরিবারের অভিযোগ, ২০২২ সালে আকবর প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার মেয়েকে পরিবারের
অমতে বিয়ে করে। পরে আত্মীয়তার কারণে আমরা মেনে নিলেও সাম্প্রতিক সময়ে
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সে। এরপর থেকেই সাদিয়াকে নির্যাতন করত। গত এক সপ্তাহ ধরে
তাকে হত্যার হুমকিও দিচ্ছিল। পরিকল্পিতভাবেই আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে
বলে পরিবারের দাবী।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মুহাম্মদ আরিফ হোসাইন বলেন, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ তার
পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার পর প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।