তানভীর
দিপু: গণিত এবং ইংরেজী পরীক্ষা না হওয়া এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা
শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম এবং সামগ্রিক ভাবে অন্যবারের তুলনায় পাশের হার বেশি
বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.
আসাদুজ্জামান। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণই পাশের হার বেশি হবার মূল
কারণ হিসেবে বলছেন তিনি। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২০২১ সালে পাশের হার ৯৬
দশমিক ২৭ শতাংশ। যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪
হাজার ৬২৬ জন। যা গতবারের তুলনায় ৪ হাজার ৩৮১ জন বেশি। ২০২০ সালে জিপিএ-৫
পেয়েছিলো ১০ হাজার ২৪৫ জন। বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ
মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান আরো বলেন, এই বছরের পরীক্ষাটি একটি বিশেষ
প্রেক্ষিতে হয়েছে। ফলাফলও হয়েছে সেভাবেই। বিশেষ করে নৈর্ব্যক্তিক তিনটি
বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো সাবজেক্ট ম্যাপিং করে আনা হয়েছে।
প্রথাগত ডাটায় আমরা দেখি ইংরেজি এবং গণিতে পরীক্ষার্থীরা বেশি ফেল করে।
কিন্তু এবছর ইংরেজী এবং গণিত পরীক্ষা হয়নি। তার যেহেতেু জেএসসিতে পাশ
করেছে, জেএসসির নম্বরটাই সাবজেক্ট ম্যাপিং করে এসএসসিতে সংযুক্ত হয়েছে। সে
জন্য এবার পাশের হার অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে এসএসসি পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধু পরীক্ষা পদ্ধতিই
নয়। বরং শিক্ষার্থীদের ভালো প্রস্তুতি এবং ভালো পরীক্ষার কারনেও এই ফল
এসেছে।
এবার কুমিল্লা বোর্ডে দুই লাখ ১৯ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। উত্তীর্ণ হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৫০৩ জন। মোট
পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ৯৫ হাজার ৮৮৯ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী
এক লাখ ২৩ হাজার ৮১৫ জন। ছেলের তুলনায় মেয়ে বেশি ২৭ হাজার ৯২৬ জন। এর
মধ্যে ৯১ হাজার ৭৯১ জন ছেলে এবং ১ লাখ ১৯ হাজার ১৭২ জন মেয়ে শিক্ষার্থী
উত্তীর্ণ হয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৪ হাজার,
উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৩ হাজার ৪০২ জন। পাসের হার ৯৮.৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন
১৩ হাজার ৩৪ জন। মানবিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮৬ হাজার ৫৩৫, উত্তীর্ণ
হয়েছে ৮৩ হাজার ২১৪ জন। পাশের হার ৯৬.১৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫০৯জন।
বাণিজ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭৯ হাজার ১৬৯ জন, উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৪ হাজার
৮৮৭ জন। পাসের হার ৯৪.৫৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ১০৩ জন।