নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা ডায়াবেটিক
সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি
বলেছেন, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এখন চিকিৎসকের দিক থেকে স্বয়ং
সম্পূর্ণ। সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান উত্তরোত্তর
বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশে^ই ডাক্তারের সংকট না থাকলেও
নার্সের সংকট রয়েছে। নার্সের এ সংকট দূর করতে ডায়াবেটিক হাসপাতালে নার্সিং
ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে শুধু সাধারণ রোগীরাই চিকিৎসা নেয়
না। অনেক গরিব অসহায় রোগীও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। করোনা সংকটেও মানুষের
কল্যাণে কাজ করেছে। তাই গণমানুষের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হয়েছে এ
হাসপাতালটি।
গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা ডায়াবেটিক
সমিতির ৩৫ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা
আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির
সভাপতি বিশিষ্ট নারীনেত্রী মিসেস মেহেরুনন্নেছা বাহারের সভাপতিত্বে সবার
শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. কোরেশী।
পরে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। সভা শেষে প্রধান অতিথি বীর
মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি ডায়াবেটিক হাসপাতাল ভবনের
কুমিল্লা ডায়াবেটিক এসোশিয়েশন নার্সিং ইনস্টিটিউট এর বর্ধিত ভবনের শুভ
উদ্বোধন করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি ডা. বাকি আনিছ, কোষাধ্যক্ষ
প্রবাল শেখর মিঠু সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন সমিতির
সদস্য তারিকুর রহমান জুয়েল।
সভাপতির বক্তব্যে মিসেস মেহেরুন্নেছা বাহার
বলেল, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতাল দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ হাসপাতাল। আমাদের
এখন চিকিৎসকের সংকট নেই। রোগীর চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন বিভাগ চালু করা
হয়েছে। এখানে শুধু সামর্থবানরা চিকিৎসা নেন, এমনটা নয়। ডায়াবেটিক হাসপাতালে
এসে অনেক রোগী চিকিৎসা করে টাকা দিতে পারেনা। তখন আমরা জাকাত ফান্ড থেকে
তাদের পাশে দাঁড়াই। এসব নি:স্ব অসহায় মানুষের কাজ করে তৃপ্তি পাই। বার্ষিক
সাধারণ সভা সমিতির সদস্যদের মিলন মেলা অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানের
সার্বিক মঙ্গলে কাজ করতে সকল সদস্যদের আহবান জানান।
সভায় প্রতিষ্ঠানের
সাধারণ সম্পাদক মীজা মো. কোরেশী জানান, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালে
প্রতিমাসে গড়ে ২৩/২৪ হাজার রোগী আউট ডোরে এবং ৩৭৫ জন রোগী ইনডোরে চিকিৎসা
নিয়ে আসছে। করোনা সংকটেও প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি কাটিয়ে লাভজনক অবস্থানে রয়েছে।
এ সমিতি মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।