তেরো বছর পর ২০২২ শিক্ষাবর্ষের
শেষে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আবার চালু হয়েছে বৃত্তি পরীক্ষা।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফল
ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের
তথ্যমতে এবার পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় পাঁচ লাখের মতো। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে
৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে।
২০০৮
সালে সর্বশেষ এই পরীক্ষা হয়েছিল। পরের বছর পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা
সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হলে বাদ হয়ে যায় প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা।
তবে গত ২৮ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আবার এ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন)
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২-এর
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ফলাফল দেয়া হবে।
সারাদেশের সব উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। খাতার পরিবর্তে বুকলেটে
অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পরীক্ষা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুকলেটের নির্ধারিত জায়গায়
টিকচিহ্ন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লিখে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে।
বুকলেটে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন
উত্তর করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয় থেকে ২৫ নম্বরের
প্রশ্ন এসেছে।’
এরআগে, ২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের
জন্য পিইসি পরীক্ষা শুরু করে সরকার। এরপর থেকে এর ফলের ভিত্তিতে বৃত্তি
দেয়া হতো। করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। নতুন
শিক্ষাক্রমে অবশ্য বৃত্তি পরীক্ষার উল্লেখ নেই। একেবারে দশম শ্রেণিতে গিয়ে
পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি ও সমমান) নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী বছর থেকে
পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।
২০২৩
সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক সমাপনী
পরীক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। তাই এই বছর থেকেই বৃত্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।