ভারতীয়
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আখাউড়া-লাকসাম
রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার (১২ মার্চ) সকাল
১১টার দিকে বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কসবায় প্রকল্প পরিদর্শনের পর
কাজ শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০১৬ সালে ১ নভেম্বর আখাউড়া-লাকসাম
রেলওয়ে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হওয়ার পর ২০২০সালের
৯সেপ্টেম্বর কসবা ও সালদানদী স্টেশন দুটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের
১৫০ গজের মধ্যে হওয়ার কারণে বিএসএফের বাধায় কাজটিতে আপত্তি তুলে। এতে
প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিভিন্ন পর্যায়ের অব্যাহত কূটনৈতিক
তৎপরতা এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ এর সাথে কার্যকর যোগাযোগ
শুরু করে। অবশেষে আড়াই বছর পর বিএসএফের বাধায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বহুল
প্রতীক্ষিত আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদানদী অংশের কাজ আজ
পুনরায় শুররু হয়েছে।
সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটির অনিষ্পন্ন কাজ পুনরায়
শুরু করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে এবং
রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট
বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে বিজিবি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও কার্যকর বিভিন্ন
পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিশেষ করে গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ
মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে
প্রকল্পের বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্থাপন করা হয়। একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে
ভারতের নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে
প্রকল্পটির বিষয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়াও অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ ও
ভারত উভয় রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও প্রকল্পটির
অনিষ্পন্ন কাজ শুরু করার ব্যাপারে ফলপ্রসু আলোচনা হয়।
তিনি জানান, গত ০১
মার্চ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম. নাজমুল হাসান আখাউড়া
আইসিপি, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদানদী স্টেশন এলাকা
পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি
দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দেশের অন্যতম জাতীয়
গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজটি পুনরায় শুরু হয়েছে। রিজিয়ন কমান্ডার আরো
বলেন, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে এটি দেশের জাতীয়
অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আশিক হাসান উল্লাহ, প্রকল্প
পরিচালক প্রকৌশলী সুবক্ত গীন সহ বিজিবি ও রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।