রোজার
মাস সামনে রেখে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য সংগ্রহ করে রাখা আছে জানিয়ে সবাইকে
বেশি কিনে মজুদ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
শেখ
হাসিনা বলেন, “অনেকের একটা প্রবণতা থাকে, ‘জিনিসের দাম বেড়ে যাবে, আমরা
অনেক কিনে ঘরে মজুদ করি’। দেখা গেল যে এত নুন কিনে মজুদ করে ফেলছে যে তা
গলে পানি হয়ে গেল। বা এত পিঁয়াজ কিনে রেখে দিল যে পচে গেল। এটা যেন কেউ না
করে।
“আমি বিশেষ করে বলব, কেউ এভাবে মজুদ করতে যাবেন না, যখন যেটুকু
দরকার, সেটা বাজার থেকে নেবেন। আর নিজেদের ঘরে উৎপাদন করেন। যে যা পারেন,
উৎপাদন করেন, আমাদের তাহলে আর কোনো অসুবিধা হবে না। আমাদের প্রচেষ্টা আছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেই সাথে কিছু আছে, মজুদকারী, তারা মজুদ করে
রাখার চেষ্টা করে। আর আমাদের কিছু কিছু বিরোধী দল তো আছেই, সব জয়গায় ঝামেলা
পাকানোর জন্য একটা চেষ্টা। কথায় কথায় কোনো একটা কথা ছড়ালো, মিথ্যা একটা
ধুঁয়া তুললো।
সবাইকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “এগুলো তো হবেই, এখানে
বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় রমজান মাসে, তার জন্য
যথাযথ চেষ্টা আমরা করছি।”
রমজান মাসে চালের কোনো অভাব হবে না জানিয়ে
সরকারপ্রধান বলেন, দেশে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমাদের মজুদ আছে। এক কোটি
পরিবারকে ফেয়ার প্রাইস কার্ডে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে
ডাল, তেল, চিনি এগুলো তারা কিনতে পারছে। এখন ছোলাও তার সঙ্গে যুক্ত করা
হয়েছে।
“আর তার থেকে আরেকটু কম আয়ের যারা, প্রথমে ৫০ লক্ষ ধরেছিলাম,
প্রয়োজনে এক কোটি লোক যদি পাওয়া যায়, তাদেরকেও আমরা ওই কার্ডের মাধ্যমে এই
পণ্যগুলো, মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে কিনতে পারবে।
“আর যারা একেবারেই
কর্মক্ষম না, মানে কাজ করতে পারনে না, আমরা তো ভিজিডি ভিজিএফের মাধ্যমে
মাসে ৩০ কেজি চাল দিয়ে দিচ্ছি। এভাবে কোনো স্তরের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়,
সেই ব্যবস্থাটা আমরা করেছি।”
সবাই সহযোগিতা করলে বাংলাদেশে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না বলে আশ্বস্ত করেন সরকারপ্রধান।