প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ১:৫৩ পিএম |
ছবি: সংগৃহীত বেশ কিছুদিন হলো কেউ খোঁচা মেরে কোনো কথা বলেই তৃষ্ণার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। কেউ কোনো ভালো কথা বললেও যেন বিরক্ত লাগছে তার।
রাগের কারণে মেয়েটির রাতে ঘুমই হচ্ছে না। আসলে রাগ হলো আমাদের আবেগের একটা অংশ। কিন্তু তা একদমই স্বাস্থ্যকর নয়, এটা কিন্তু সবাই জানি। রাগ আমাদের গোছানো কাজগুলো এলেমেলো করে দেয়। আবার দেখা যায় রাগ থেকেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক মধুর সম্পর্ক।
আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছেন ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যকে উত্তেজিত করে তোলেন। হয়তো কোনো এক সময় যখন আপনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সেই পরিস্থিতিতে আপনাকে রাগিয়ে খারাপ করেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এমন কিছু আচরণ করে থাকেন বা অন্যদের ব্যবহার করেন যা হয়তো আপনার খারাপ লাগে। এমন পরিস্থিতে কীভাবে সামলা দেবেন আপনার রাগ, তাহলে আসুন উপায় জেনে নিই।
রাগ হলো একটি নেতিবাচক আবেগ, এর কারণে অন্যদের যে ক্ষতি হচ্ছে, সেটি আগে বের করে তা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিন। রেগে গেলে সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে নিজের কাছে কিছু সময় নিন। দেখবেন এই সময়ক্ষেপণের ফলে আপনার রাগের তীব্রতা অনেক কমে গেছে।
ভালো হয় যখন টের পাচ্ছেন আপনাকে কেউ বিরক্ত বা রাগাচ্ছেন, সেই পরিস্থিতি বা জায়গা থেকে দ্রুত সরে যান। অথবা কারও সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যদি রাগ হয় প্রসঙ্গটি পরিবর্তন করে ফেলুন। রাগ কমে যাবে।
রাগের সময় গুনগুন করে গান গাইতে পারেন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও করতে পারেন। এতে আপনার আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়াবে। এছাড়া প্রতিদিন আপনাকে আধা ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে হাঁটা বা ব্যায়াম করতে হবে। তাতে আপনার কাছে রাগ পাত্তা পাবে না।
আপনার জীবনের গুণগত মান অন্যের ওপরে না, আপনার ভালো থাকার ওপর নির্ভর করে। তাই নিজেকে ভালোবাসুন, ভালো রাখুন, প্রিয় শিল্পীর গান শুনুন, বই পড়ুন, পছন্দের কাজ করুন। বন্ধুবান্ধব ও সামাজিক মেলামেশা বাড়ান, নিয়ম করে মাঝেমধ্যে বেড়াতে যান। নিজের জন্য প্রতিদিনই কিছুটা গুণগত সময় রাখুন। জীবনটা তো আপনার, তাহলে আপনিই নিয়ন্ত্রণ করবেন, অন্যকে নয়, এজন্য রাগপ্রকাশ করে হেরে যাওয়ার তো কোনো মানে হয় না।