লিওনেল
মেসি ছিলেন না, সঙ্গে ছিল কঠিন কন্ডিশনে পারফর্ম করার চ্যালেঞ্জ। লাপাজ
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ২২৫ মিটার ওপরে হওয়ায় বেশির ভাগ সময়ই অক্সিজেনের
অভাবে নাভিশ্বাস ওঠে খেলোয়াড়দের। এবার অক্সিজেন মাস্ক সঙ্গে নিয়েই বলিভিয়া
গেছে আর্জেন্টিনা দল। এমন এক প্রতিকূল পরিবেশে মেসিকে ছাড়াই জয় পেয়েছে
আর্জেন্টিনা। বলিভিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে অধিনায়কত্বের
আর্মব্যান্ড পরে সামনে থেকেই আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনহেল দি
মারিয়া।
৩-০ গোলে জয়ের পথে ২ গোলেই সহায়তা করেছেন এই উইঙ্গার। ৩১ মিনিটে
দি মারিয়ার বাড়ানো বল থেকেই গোল করেন চেলসি মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ।
এরপর বিরতির আগে দি মারিয়ার ফ্রি কিক থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে
দেন তালিয়াফিকো।
সব মিলিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন আর্জেন্টিনার
বিশ্বকাপজয়ী এই উইঙ্গার। ম্যাচ শেষে দি মারিয়া দলের পারফরম্যান্সে নিজের
সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন, ‘উচ্চতার বিষয়টি আসলে মানসিক। সত্যি বলতে শুধু
নিজের পারফরম্যান্সে নয়, দলের পারফরম্যান্সেও খুশি। জয়টা আমাদের প্রাপ্য
ছিল। আমরা দুর্দান্ত খেলছি। ম্যাচে কোনো ভুল করিনি, তারা আমাদের বিপক্ষে
কোনো গোলও পায়নি। অর্থাৎ আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল, আর যখন সুযোগ ছিল, তখন
আমরা গোলও করেছি।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের
বিপক্ষে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মাঠ ছাড়েন মেসি। মাঠ ছাড়ার আগে নিজের
ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ডটা দিয়ে যান দি মারিয়ার হাতে। আর্জেন্টাইন এই
উইঙ্গারের কাছে এমনিতেই অধিনায়কত্ব একটা বিশেষ ব্যাপার, মেসির হাত থেকে
আর্মব্যান্ড নেওয়া এই অর্জনকে আরও বিশেষ করেছে বলে দাবি দি মারিয়ার, ‘সত্যি
বলতে খুবই ভালো লাগছে। এটা একটা আবেগের জায়গা। সেই আবেগের ছোঁয়া আরও বেশি
ছিল যখন লিও (মেসি) আগের ম্যাচে আমাকে আর্মব্যান্ড পরিয়ে দিয়েছিল। কারণ
বিশ্বসেরার কাছ থেকে আর্মব্যান্ড নেওয়ার অনুভূতি অন্য রকম।’