দেশে
প্রথমবারের মতো উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস। ‘সেবা ও উন্নতির
দক্ষ রূপকার, উন্নয়নে-উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার’ এই স্লোগানে সারা দেশের
ন্যায় কুমিল্লার চান্দিনায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি
পালিত হয়।
জনসচেতনতা তৈরি এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে
জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ওই দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দিবসটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর
নির্ধারণ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে চলছে তিন
দিনব্যাপী মেলা। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট ৫টি স্টল রয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন সেবা নিয়ে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি
উপলক্ষে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা প্রশাসন ও
উপজেলা পরিষদের আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটি পালনের শুভ সূচনা করা হয়।
উপজেলা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক
প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) তাপস শীলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বকসী।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন
পৌরসভার মেয়র শওকত হোসেন ভূইয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম
মুন্সী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার।
এসময় আরও
বক্তব্য দেন উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুল হক
রোমেল, উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসার মোস্তফা আমির, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও
সমবায় অফিসার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার হাজী আব্দুল মালেক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন
বকসী বলেন, নাগরিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে
প্রতিষ্ঠিত হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয়
সরকার বিভাগ। দিবসটি পালনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারে সেবা প্রাপ্তি হবে সহজ ও
ঝামেলামুক্ত। স্থানীয় সরকার অধিকতর দক্ষতার সাথে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন,
শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রভৃতি সেবা জনগণের
দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) তাপস শীল বলেন, এ দিবসের মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদানের নতুন দ্বার
উন্মোচিত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ দেশের
জনগণ। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের
দাবি-সমস্যার কথা শুনতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট
বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকারকে স্মার্ট ও সেবামুখী করতে হবে।