প্রায়
এক বছর পর গতকাল সোমবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে অবৈধ স্বাস্থ্য
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান। ডেঙ্গু শনাক্ত পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত অর্থ
আদায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও মানহীন ল্যাবরেটরি থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই
ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও ঢাকায় তিন হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে
জানানো হয়, ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং মানহীন ল্যাবরেটরি
থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মেড্ডা দি মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার’কে ৫০
হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, শহরের পাইকপাড়া মিজান
টাওয়ারে অবস্থিত ‘হোপ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’ এ ডেঙ্গু শনাক্ত
পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত মেয়াদোত্তীর্ণ
ওষুধ পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার ২০০৯ এর ধারা ৪০ ও ৫২ ধারার আওতায় এক লাখ টাকা
জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে
ডা. আশরাফুর রহমান হিমেল ও সঙ্গে ছিলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. সফিউর
রহমান।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের ‘রাফিয়া ক্লিনিক’ এ বিভিন্ন অনিয়ম
পাওয়ায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগেও
একাধিকবার রাফিয়া ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসক এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে
প্রতিষ্ঠানটি সিলগালাসহ অর্থদ- করা হয়েছিল। কিছুদিন বন্ধ থাকার ফের
ক্লিনিকটি আবার কার্যক্রম শুরু করে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরাফাতুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সল বিন করিমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত
হয়েছে।
এ ছাড়াও, গতকাল অভিযানের প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকার ভাটারায় দুই
হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অনুমোদন না থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা (টেস্ট)
করে আসছিল ওই এলাকার ভাটারা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং ইনস্টিটিউট
এবং ভাটারা ডায়াবেটিস সেন্টার।