‘মাঠে এ সব কী হচ্ছে!’—বিস্ময়টা
ফুটবল বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি টাউনসেন্ডের। লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন যে রকম
হাস্যকর ভুল করে আর্সেনালকে গোল উপহার দিলেন তা দেখে সাবেক এই ফুটবলার
কথাটা না বলে পারলেন না। আলিসনদের ওই ভুলেই গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি
দ্বিতীয় গোল এনে দেন আর্সেনালকে।
শুধু এই একটি ভুলের কথাই বলেননি
টাউনসেন্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েও তো কাছাকাছি মানের ভুল দেখেছে
আর্সেনাল-লিভারপুল ম্যাচটি। তখন ভুলটি করেছে আর্সেনালের রক্ষণভাগ। আর সেই
ভুলের ফায়দা তুলেই সমতা ফিরিয়েছিল লিভারপুল। আর্সেনালের আরেক গ্যাব্রিয়েল,
গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস তালগোল পাকিয়ে আত্মঘাতী গোল উপহার দেন লিভারপুলকে।
এমিরেটসে
রোববারের ভুলে ভরা এই ম্যাচটা জিতেছে আর্সেনাল। ১৪ মিনিটে বুকায়ো সাকার
গোলে এগিয়ে যাওয়া গানাররা জিতেছে ৩-১ গোলে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে
আর্সেনালকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন লিয়ান্দ্রো ত্রোসার।
২৩ ম্যাচে পাওয়া
১৫তম জয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে এক দিনের জন্য হলেও প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট
তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে আর্সেনাল। এই হারের পরও অবশ্য ৫১ পয়েন্ট নিয়ে
শীর্ষেই আছে লিভারপুল।
শুরু থেকেই লিভারপুলকে চেপে ধরার ফলটা ১৪ মিনিটেই
পেয়ে যায় মিকেল আরতেতার আর্সেনাল। মার্টিন ওডেগার্ডের পাস থেকে কাই
হাভার্টজ শট নিয়েছিলেন লিভারপুলের গোলে। আলিসন দারুণভাবেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন
সেই শট। কিন্তু বলটি পেয়ে যান সাকা। ডান পাশ থেকে প্রিমিয়ার লিগে
লিভারপুলের বিপক্ষে নিজের তৃতীয় গোলটি করতে ভুল করেননি সাকা।
তবে
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে কী অবিশ্বাস্য ভুলই না করল তাঁর দলের রক্ষণভাগ।
গ্রাভেনবার্চের বাড়ানো পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন লুইস দিয়াজ।
আর্সেনাল ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবা বল কেড়ে নিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক
রায়াকে। কিন্তু হিসেবে একটু গরমিল হওয়ায় বলটা আবার পেয়ে যান দিয়াজ।
কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড আবার শট নেন। গ্যাব্রিয়েলের শরীরে লেগে কীভাবে কীভাবে
যেন বল গোললাইন পেরিয়ে যায়।
হঠাৎ করেই পেয়ে যাওয়া এই গোলের সুবিধা যে
নিতে পারেনি লিভারপুল সেটি তো স্কোরই বলছে। বরং ৬৭ মিনিটে সেই অবিশ্বাস্য
ভুল। এই গোলের উৎস ছিলেন সেই গ্র্যাব্রিয়েল। আরেক গ্যাব্রিয়েল
মার্তিনেল্লিকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন
গ্যাব্রিয়েল। বলটি পড়ে ফন ডাইক ও আগুয়ান লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসনের মাঝে।
মার্তিনেল্লির গায়ে গায়ে লেগে থাকা ফন ডাইক বলটির কাছে যেেেত পারেননি।
বলটাকে কীভাবে যেন স্পর্শ করতে পারলেন না গোলরক্ষক আলিসনও। বাউন্স খেয়ে
বলটি চলে যায় মার্তিনেল্লির কাছে। লিভারপুলের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা
মিলিয়ে নিজের পঞ্চম গোলটি করার পর অবিশ্বাস্যে হাসি লেগে ছিল মার্তিনেল্লির
মুখে।
লিভারপুলের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড
দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে। এর ৪ মিনিট পরেই ত্রোসারের সেই
গোল আর টাচলাইন ধরে আরতেতার পাগুলে দৌড়।