রাজধানীতে পৃথক
ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ চার জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু
হয়েছে। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক)
হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। সবগুলো ঘটনায় পৃথক থানায় অপমৃত্যুর মামলা
হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, ঢাবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া (২০), নয়ন হোসেন
(২০), ইমরান হোসেন (২৩) ও মতিউর রহমান। নিহত চার জনের মধ্যে ঢাবি
শিক্ষার্থী সুমাইয়ার লাশ তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার
উপপরিদর্শক (এসআই) ফারজানা আক্তার জানিয়েছেন, সুমাইয়া মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি
এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সুমাইয়া মঙ্গলবার গভীর রাতে
বাসায় তার রুমে গলায় ফাঁস দেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ
হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
যাত্রাবাড়ী
থানা পুলিশ জানায়, নয়ন হোসেন মঙ্গলবার রাতে যাত্রাবাড়ী ধলপুর সুতিখালপাড়
নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ
থানাধীন চনপাড়ার শাহ আলমের ছেলে। জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ তার বাসা
থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নয়নের স্ত্রী বিথি বাবার বাড়ি
কাজলার পাড় এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি বাসায় ফিরে এসে দরজা বন্ধ দেখে
ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাননি। পরে জানালা দিয়ে দেখতে পান তার স্বামী
ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন। ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে মরদেহ
উদ্ধার করে।
যাত্রাবাড়ী থানা আরও জানায়, পৃথক ঘটনায় মাতুয়াইল জঙ্গলবাড়ি
এলাকায় ইমরান নামে এক অটোরিকশাচালক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার
গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন এলাকায়।
বুধবার হাতিরঝিল থানাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ওপর থেকে ভারী কোনও বস্তু পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মতিউর রহমান (৪৮)।
থানা
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ শরীফপুর
এলাকার নুর মিয়ার ছেলে। তিনি পল্টন এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।