অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি
দিয়ে হাঙ্গেরি ও সার্বিয়ায় ঢোকার সময় ১৬ জন অভিবাসীকে আটক করেছে রোমানিয়ার
সীমান্ত পুলিশ। এদের মধ্যে ১৩ জন নেপালের ও তিনজন বাংলাদেশের নাগরিক।
রোমানিয়া
সীমান্ত পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি তিমিস কাউন্টির
সেনাদ সীমান্তে আসা একটি গাড়ি থেকে তিন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
সেদিন
সকালে অভিবাসীদের বহনকারী একটি গাড়ি সীমান্তে আনুষ্ঠানিকতার জন্য হাজির
হলে শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছে চালকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এ কারণে
গাড়িটি ভালোভাবে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
তল্লাশির এক পর্যায়ে
গাড়ির ট্রেলারে থাকা কম্বল এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মধ্যে
লুকানো তিন বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে পায় পুলিশ। তারা গাড়ির ট্রেলারে
লুকিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে হাঙ্গেরি ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বলে
জানানো হয়েছে।
গাড়ির চালক একজন রোমানীয় নাগরিক। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এছাড়া,
আটক তিন বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়ে
যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিবাসীরা ২৯ থেকে ৩৯ বছর বয়সী। তারা
বাংলাদেশ থেকে বৈধ কাজের ভিসায় রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। এরপর অনিয়মিত
পথে পশ্চিম ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন বলেও স্বীকার করেন ওই তিনজন।
রোমানিয়া
সীমান্ত পুলিশ গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আরেক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
তিমিসোয়ারা বর্ডার পুলিশের টেরিটোরিয়াল ইন্সপেক্টরেট সার্বিয়া সীমান্তে
প্রবেশের চেষ্টা করা ১৩ জন নেপালি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তিনটি আলাদা দলে
বিভক্ত হয়ে সীমান্তের দিকে হাঁটার সময় তাদের আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সীমান্ত এলাকায় উপস্থিতির সপক্ষে উপযুক্ত যুক্তি দিতে পারেননি।
আটক
অভিবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সবাই ২০ থেকে ৩৬ বছর
বয়সী নেপালি নাগরিক। তাদের সবাই বৈধ কাজের ভিসায় রোমানিয়ায় প্রবেশ
করেছিলেন। তারা রোমানিয়া থেকে সার্বিয়ায় প্রবেশ করে সেখান থেকে পশ্চিম
ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
আটক নেপালি ও বাংলাদেশি
অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বেআইনি উপায়ে রোমানিয়া ছাড়ার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা
হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট বিচারিক
পদক্ষেপ ঘোষণা করবে কর্তৃপক্ষ। সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস