প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৮:১৯ পিএম |
নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে এহসান আহমেদ (৩০)। তিনি নিজেকে কানাডা প্রবাসী, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ও শিল্পপতি পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে শতাধিক ধনীর দুলালিকে ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। সর্বশেষ এহসানের ফাঁদে পা দেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত এক তরুণী। সম্প্রতি রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা করেন তিনি। এরপর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রমনা থেকে এহসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কানাডায় স্থায়ী বসবাসের গ্রিনকার্ড হোল্ডার, পিএইচডিধারী এবং দেশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের সন্তান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন নেত্রেকোনার পূর্বধলার নারান্দিয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে এহসান আহমেদ (৩০)। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে ইচ্ছুক উচ্চবিত্ত পরিবারের এমন তরুণীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত হতেন তিনি। তাদের সঙ্গে দেখা করার সময় ভালো বেশভূষা ও নামিদামি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যেতেন ওই যুবক। এরপর গড়ে তুলতেন প্রেমের সম্পর্ক। এমন মিথ্যা পরিচয়ে শতাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম করে প্রতারণা করেছেন এহসান। সর্বশেষ তার ফাঁদে পা দেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত এক তরুণী। কানাডায় স্ত্রী হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এহসান। এরপর কৌশলে ওই তরুণীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন তিনি।
তিনি বলেন, এর আগেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এ ধরনের অনেক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। প্রতারকরা নিজেদের মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সচিব, বড় ব্যবসায়ীর সন্তান দাবি করে মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শারীরিক ও আর্থিকভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এসব মাধ্যমে কেউ বড়লোক, ব্যবসায়ী বা সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিলে যাচাই করা উচিত। সেই সঙ্গে অনলাইনে বন্ধুত্বের নামে ব্যক্তিগত এসব ছবি-ভিডিও আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। তবে কেউ এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিতে হবে।