টাইব্রেকারে ১১-১১ গোলে
সমতা হওয়ার পর টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী সাডেন ডেথ চলার কথা। রেফারি ও
সহকারী রেফারি খানিকটা দ্বিধান্বিত ছিলেন। ম্যাচ কমিশনার শ্রীলঙ্কান ডি
সিলভা ডিলান টাচলাইনের কাছাকাছি এসে রেফারিদের ডেকে টসের কথা বলেন। দুই দল
টসে যায়। সেই টসে ভারত জেতে।
টস নেয়ার সময় বাংলাদেশ দল আপত্তি করেনি
।মূলত টস হারার পর বাংলাদেশ আপত্তি তোলে। ম্যাচ কমিশনার তখন নিজের
সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। বাংলাদেশ আপত্তি চালিয়ে যায় । সাফ ও অন্যদের সাথে
আলোচনার পর ম্যাচ কমিশনার পুনরায় সাডেন ডেথের কথা বলেন। এবার ভারত আপত্তি
জানায়। প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
শেষমেশ বাংলাদেশের অনড়
অবস্থানের মুখে সিদ্ধান্ত বদলান কমিশনার। রেফারি ৩০ মিনিট অপেক্ষা করছে।
বাইলজ অনুযায়ী এখন ভারত মাঠে না ফিরলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা।
সাফের ফুটবলে এ রকম ঘটনা আর ঘটেনি । বাংলাদেশের ফুটবলে এমন ঘটনা ছিল। সেখানে দুই দল মিলে ২০ এর অধিক শট নিয়েছিল।
এর
আগে ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় ভারত । ৮ মিনিটে রক্ষণ দুর্বলতা ও গোলরক্ষকের
ভুলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। ভারতীয় মিডফিল্ডার নিতু লিন্ডার থ্রুতে
বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বল পান শিবানী দেবী । বাংলাদেশের
গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী বক্সের সামনে এসে বলের নাগাল পাননি৷ শিবানী
বুদ্ধিদীপ্তভাবে প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান।
৮ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর
সুযোগ ছিল ভারতের। বক্সের মধ্যে গোলদাতা শিবানী দেবী ভালো পজিশনে বল পান।
তার নেয়া ডান পায়ের শট পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে যায় । তাতে এ যাত্রায়
রক্ষা পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা
করেছে । তবে সমতা আনার মতো সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিক দল । ৩৫
মিনিটে স্বপ্না রাণীর দুই জনকে কাটিয়ে শট নিলেও বাইরে দিয়ে যায় ।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি।