দ্বাদশ
জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ
পাচ্ছে ৪৮টি। এসব আসনে দলটির মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। ফলে
প্রতিটি আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩২
জন। তাদের মধ্যে কারা আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন, তা চূড়ান্ত হবে আগামী ১৪
ফেব্রুয়ারি দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি)
থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ, যা
শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায়। পরে বঙ্গবন্ধু
অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন
দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি জানান, ১ হাজার ৫৪৯টি ফরম
বিক্রি করে দলের আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এবার ৫০ হাজার টাকা করে প্রতিটি ফরম বিক্রি হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।
প্রার্থী
চূড়ান্তের বিষয়ে কাদের বলেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের সংসদীয় মনোনয়ন
বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা। সেই সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি হল কি না- জানাতে চাইলে
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনের সময় কত সংখ্যক প্রার্থী ছিল সেটা কি মনে
আছে? চৌদ্দশ’র বেশি ছিল। তখন সিট ছিল ৪৩টা, এখন ৪৮টা। এবার ৫টা বেশি আছে।
তিন
দিনে ফরম সংগ্রহ করাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা
লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীসহ অন্যান্য
সংগঠনের পদধারীরা রয়েছেন। এই তালিকায় মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, আইনজীবী,
অভিনেত্রী, এনজিও কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারীরা আছেন, আছেন
হিজড়াও।
আওয়ামী লীগে ‘অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা’র বিষয়ে তিনি বলেন,
আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে যতটুকু অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক
চর্চা হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ভেতরেই হয়। আমরা নিয়ম কানুন মেনে সবকিছু করে
থাকি। ভুল ত্রুটি হয় না তা নয়। কারণ পৃথিবীতে কেউ পারফেক্ট নয়। এছাড়া আমরাই
এদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে বলি না, নিজেদের ঘরে
চর্চা করি। আর বিএনপি সেটা করে না। তাদের কনফারেন্সও হয় না কত বছর।
মঙ্গলবার
(৬ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসনের বণ্টন প্রশ্নে ইসি সচিব
জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের অংশের নারী প্রার্থী নেওয়ার ক্ষমতা
আওয়ামী লীগকে দিয়েছে। জাতীয় পার্টি তাদের ১১টি আসনে এককভবে নির্বাচন করবে।
ফলে আইন অনুযায়ী, জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন এবং আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র ও
তাদের ১৪ দলীয় জোট পাবে ৪৮টি আসন। এই বিভাজন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও
বাছাইসহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত
তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র
জমা দেওয়ার তারিখ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা
পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। আপিল দায়ের ২২
ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ
সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি। ভোটগ্রহণ হবে ১৪ মার্চ।