কুমিল্লা
জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন গ্রামে সৎ মায়ের
অত্যাচারের শিকার হয়েছে ৭ বছরের শিশু কন্যা সন্তান আয়েশা সিদ্দিকা।
অত্যাচারের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তা
নিয়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল
থেকে ভিকটিম আয়েশা সিদ্দিকাকে উদ্ধার এবং তার সৎ মা মোসাঃ তাছলিমা আক্তারকে
আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের
মামা মোঃ কামাল হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের আপন মা
গত ৯ মাস পূর্বে মারা যায়। তখন ভিকটিমের বাবা মোঃ বাছির উদ্দিন একই এলাকার
তাছলিমা আক্তারকে বিবাহ করেন। বিবাহের পর বাছির উদ্দিন প্রবাসে চলে যায়।
তখন থেকে শিশু কন্যা আয়েশা সিদ্দিকা, তাছলিমা আক্তারের কাছে থাকে। তখন থেকে
শুরু হয় শিশু কন্যা আয়েশা সিদ্দিকার উপর তার সৎ মায়ের অত্যাচার। সে
প্রতিনিয়ত শিশু কন্যার উপর আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলা, মারধর এবং ঘরের সকল কাজ
করায়। তার অত্যাচারে শিশু কন্যা শ্রবণশক্তি কমে যায় এবং মারাতœক অসুস্থ হয়
এবং তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধরের চিহৃসহ একাধিক ক্ষত রয়েছে। এর
প্রতিকার চাইতে শিশু সন্তানের আতœীয়স্বজন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদ
উদ্দিনকে জানাইলে মেম্বার কয়েকবার তার সৎ মাকে ডেকে নিয়ে সমাধান করে।
কিন্তু এতেও তার সৎ মা শিশু কন্যার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অত্যাচার আরো কয়েকগুন
বাড়িয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ তারিখ তাছলিমা আক্তার ঘরের দরজা বন্ধ
করে ভিকটিম আয়েশা সিদ্দিকার উপর লোহমহর্ষক অত্যাচার করে তাকে শ্বাসরোধ করে
হত্যা করার চেষ্টা করে। এরকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে
পড়লে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই সোহেনা
আক্তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম শিশু কন্যা আয়েশা সিদ্দিকাকে
উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং তার সৎ মাকে আটক করে
থানায় নিয়ে আসে। এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)
মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশু আয়েশা সিদ্দিকার উপর অমানবিক নির্যাতনের
একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আমরা তাৎক্ষনিক ভিকটিমের
বাড়ি থেকে শিশুকে উদ্ধার করি এবং সৎ মা তাছলিমা আক্তারকে আটক করে থানায়
নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে থানায় শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে।