ম্যাচ
জুড়ে ছড়ি ঘোরাল আবাহনী। ব্রাদার্সও হাল ছাড়ল না সহজে। তাতে জমে উঠল ম্যাচ।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় তুলে নিল আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগে দিনের অন্য ম্যাচে
শুরুতে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানকে চোখ রাঙাচ্ছিল হার। শেষ দিকে পেনাল্টি গোলে
কোনো মতে হার এড়াল সাদাকালো জার্সিধারীরা।
রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি
স্টেডিয়ামে শুক্রবার ব্রাদার্সকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। মুন্সিগঞ্জের
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস
অ্যান্ড সোসাইটির বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছে মোহামেডান।
রাজশাহীদে সপ্তম
মিনিটেই এগিয়ে যায় আবাহনী। সতীর্থের লংস পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে
নিয়ে ছুট যান কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। আরেক পাশে ছিলেন জোনাথন ফের্নান্দেস।
তেমন কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক মহিউদ্দিন রানুর। তাকে ছুটে আসতে দেখে
কর্নেলিয়াস খুঁজে নেন অরক্ষিত জোনাথনকে। অনাসায়ে বল জালে জড়ান এই
ব্রাজিলিয়ান।
৩৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস গতি দিয়ে গায়ে সঙ্গে সেঁটে
থাকা ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে নিয়ন্ত্রণে নেন ওয়াশিংতন ব্রান্দাও। নিখুঁত
শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ব্রাজিলিয়ান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে
স্টুয়ার্টের গোলে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় আবাহনী। ৫৮তম মিনিটে ইনসান
হোসেনের হেডে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ্য পায় ব্রাদার্স। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা
সময়ের তৃতীয় মিনিটে রাহুল হোসেনের গোলে ব্যবধান কমে আরও। কিন্তু
ব্রাদার্সের হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
মুন্সিগঞ্জে ২৭ মিনিটে
দাউদা সিসের গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান। ৮৬ মিনিট পর্যন্ত গোল আগলে রেখে
জয়ের পথেই ছিল রহমতগঞ্জ। কিন্তু উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার ইখতিওর
তাসপুলাতভের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। মোজাফফরভ সফল স্পট কিকে
সমতার স্বস্তি এনে দেন আলফাজ আহমেদের দলকে।
মোহামেডানের সামনে সুযোগ
ছিল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ওঠার। কিন্তু এই হারে ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে
তারা আছে দ্বিতীয় স্থানেই। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস কম
খেলেছে এক ম্যাচ।
চতুর্থ জয়ের স্বাদ পাওয়া আবাহনী ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাদার্স আছে তলানিতে।
এ নিয়ে চলতি লিগে এ পর্যন্ত খেলা সাত ম্যাচের সবগুলোই ড্র করল রহমতগঞ্জ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পুরান ঢাকার দলটি।