প্রকাশ: শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:০৮ পিএম |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর সংসদে প্রথম স্পীকারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে অসংখ্য নারী নিয়োগ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে সংবিধান দিয়ে গেছেন সেখানে তিনি সুস্পষ্টভাবে নারী অধিকারের কথা বলেছেন। আজকে বাংলাদেশের নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখছেন। আমি বিশ্বাস করি, এই দেবিদ্বারকেও স্মার্ট দেবিদ্বার রুপে গড়ে তুলতে নারীদের শিক্ষা অপরিসীম ভূমিকা রাখবে। সরকার নারী শিক্ষার জন্য তৃণমূল পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১০টার দিকে দেবিদ্বার মফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমি এই স্কুল থেকে শতভাগ উর্ত্তিণ শিক্ষার্থীদের দেখতে চাই। আপনারা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যতœশীল হোন, আপনাদের কাছে প্রতিটি অভিভাবক অনেক স্বপ্ন সন্তানদের পাঠায় আপনারা দায়িত্ববান হয়ে তাদের সুশিক্ষা দিন। আপনরাই পারবেন দেবিদ্বারে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে। যেসকল শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে পড়া লেখা বন্ধ হওয়ার পথে তোমরা আমার নম্বরে যোগাযোগ করবে আমি তোমাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেব, তবুও পড়ালেখা বন্ধ করা যাবে না।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন হোসেইন ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওমানী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলম তালুকদার।
সহকারি শিক্ষক মো. কাউছার আলম ও আতিয়া সামিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য আরো রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লুৎফুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এড. শাহাদাৎ হোসেন শিমুল, গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোকবল হোসেন মুকুল, স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার, ফুলতলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শামসুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান।