কুমিল্লার
চান্দিনায় স্ত্রীকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায়
থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের পর দুপুরে নিহতদের মরদেহ পরিবারের
কাছে হস্তান্তর করে বিকেলে চান্দিনা থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন দুই
পবিারের সদস্যরা।
স্ত্রী হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহত স্বামীকে আসামী
করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রোজিনা আক্তারের বড় ভাই মো.
শাহজাহান। একই ঘটনায় স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায় নিহত সোহেল গাজীর বড় ভাই মো.
আব্দুল ছালাম গাজী বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
হত্যা
মামলার বাদী শাহাজান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে
বোনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারী জানতে পারি চান্দিনার
রারিরচর এলাকার ভাড়া বাসায় আমার বোনের অর্ধপঁচন মরদেহ পড়ে আছে। আমাদের
ধারণা মাদকাসক্ত স্বামী সোহেল গাজী অথবা অজ্ঞাতনামা হত্যাকারীরা আমার বোনকে
হত্যা করেছে।
চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল
ইসলাম জানান, আইন অনুযায়ী উক্ত ঘটনায় দুইটি মামলা নেয়া হয়েছে। আমাদের
প্রাথমিক তদন্তে যদিও ধারণা করছি, স্ত্রীকে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যার পর
স্বামী আত্মহত্যা করেছে। তারপরও ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তকারী
কর্মকর্তার তদন্ত করে আদালতে মামলার প্রতিবেদন দিবেন।
প্রসঙ্গত,
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯টায় চান্দিনা পৌরসভার রারিরচর গ্রামের আনিছ
মোহাম্মদের বাড়ি এলাকার স্বপ্না বেগম এর বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে
ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলে থাকা স্বামী এবং খাটের উপর স্ত্রীর অর্ধ পচনধরা
মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যেহেতু ওই কক্ষটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল সেহেতু পুলিশ
সহ এলাকাবাসীর ধারণা স্ত্রী রোজিনা আক্তারকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে
আত্মহত্যা করেছে স্বামী সোহেল গাজী।
নিহতরা হলেন- চান্দিনার ছায়কোট
গ্রামের আব্দুল জলিল এর মেয়ে রোজিনা আক্তার (২২) ও কুমিল্লা আদর্শ সদর
এলাকার কাপ্তান বাজার এলাকার মুজিবুর রহমান এর ছেলে সোহেল (২৮)। রোজিনা
আক্তার একটি পার্লারে কাজ করলেও সোহেল কোন নির্দিষ্ট কর্ম করতো না। তারা
চান্দিনার রারিরচর গ্রামের আনিছ মোহাম্মদ এর বাড়ি এলাকার স্বপ্না বেগম এর
বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতো।