নবগঠিত
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা
জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ৯ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের
কমিটি ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নতুন কমিটি সভাপতি
মিনহাদুল হাসান রাফি ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল পিয়াস। শুক্রবার (২২মার্চ)
দুপুরে নগরীর রামঘাটস্থ দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে নতুন
কমিটির নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কর্মী সমর্থকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি- মিনহাদুল হাসান রাফি, সাধারণ সম্পাদক- ইসরাফিল পিয়াস,
সাংগঠনিক
সম্পাদক- হৃদয় হোসেন, নাঈম ভূইয়া- সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল, যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক- মেহেদী হাসান অনিসহ কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে ফিরার পথে জেলার চান্দিনায় উপজেলা ছাত্রলীগ ও বরুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের সংবর্ধনা দেন।
পরে
বুড়িচংয়ের নিমসার জুনাব আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগ,
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া ছাত্রলীগ ও মোকাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নবগঠিত এ জেলা
ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
তারা ঢাকা-চট্রগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ হাজারের অধিক নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল ও ১২৫ টি
প্রাইভেটকার শোডাউন দিয়ে দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ঢোকেন। সেখান
জেলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে রাফি ও পিয়াসকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে
ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের
কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে
শ্রদ্ধা জানান।
সাধারণ সম্পাদক পিয়াস বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর পর আমাদের এই
কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দরা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা
ছাত্রলীগকে একটি সুশৃঙ্খল কমিটি উপহার দিয়েছে। আমাদের এই নবগঠিত কমিটির
প্রথম কাজ হবে দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সকল মেয়াদোর্ত্তীর্ণ কমিটিকে সম্মেলনের
মাধ্যমে নতুন কমিটি উপহার দিবো। দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ হবে স্মার্ট
বাংলাদেশের স্মার্ট ছাত্রলীগ।
সভাপতি রাফি বলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ
ছাত্রলীগের আওতাধীন ১০ টি উপজেলা, ৪ টি পৌরসভা ও ১০ টি সরকারী কলেজের
বিভিন্ন ইউনিটে কমিটি নেই। আমরা সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সেই কমিটিগুলোকে
সাজাবো। দীর্ঘ ৯ বছরে যে শূন্যস্থান পূরণ হয়েছে, তা পূরণ করার লক্ষ্যে আমরা
কাজ করে যাবো।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি রাফি ও সাধারণ সম্পাদক পিয়াস
শুভেচ্ছা বিনিময় কুমিল্লা টাউন হল থেকে একটা আনন্দ মিছিল পুরো কুমিল্লা
ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।