কয়েক দফা
পরীক্ষা শেষে জানানো হয়েছিল চোটের কারণে আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার
দুটি প্রীতি ম্যাচে থাকবেন না লিওনেল মেসি। তাকে ছাড়া আর্জেন্টিনার স্কোয়াড
ঠিক কেমন করে, তারই একটা ঝলক দেখা গেল শনিবার। মেসি যে দলের প্রাণভোমরা,
সেই দলটাই মেসিকে ছাড়া খেলল দাপুটে এক ফুটবল। তাতে আর্জেন্টিনার ভক্তরাও
খানিক খুশিই হবেন। লিওনেল স্কালোনির অধীনে দল যে সঠিক কক্ষপথেই আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রথম প্রীতি ম্যাচে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মধ্য
আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের মুখে এল
সালভাদর হেরেছে ৩-০ গোলে। সেন্টারব্যাক ক্রিস্টিয়ান রোমেরো এবং দুই
ডিফেন্ডার এনজো ফার্নান্দেজ এবং জিওভানি লো সেলসো আলবিসেলেস্তেদের হয়ে
গোলের দেখা পেয়েছেন।
এই ফল অবশ্য আরও অনেকটা বড় হতে পারতো। এল
সালভাদরের গোলরক্ষক মারিও গঞ্জালেজ একাই লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন দলকে। গুণে
গুণে ১০ বার গোলবঞ্চিত রেখেছেন আর্জেন্টিনাকে। এর বাইরে এদিন বল দখল,
আক্রমণ কিংবা সুযোগ তৈরি কোথাও আর্জেন্টিনাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি এল
সালভাদর।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার ৮০ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে এল
সালভাদর দখলে বলছিল মাত্র ২০ শতাংশ সময়। আর্জেন্টিনা ১৪টি লক্ষ্যে রেখেছে,
এল সালভাদর সেখানে শটই নিতে পেরেছে মাত্র ২টি।
ম্যাচের প্রথম মিনিট
থেকেই আক্রমণে যেতে শুরু করে আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠের দখল নিয়েই আক্রমণগুলো
তৈরি করে তারা। আর্জেন্টিনা আক্রমণাত্মক খেলার ফল পেয়েছে ম্যাচের ১৬
মিনিটে। কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন রোমেরো।
এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় লিওনেল স্কালোনির দল। ২৯ মিনিটে অবশ্য
সমতা ফেরানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল এল সালভাদর। ম্যাচে তাদের সবচেয়ে বড়
সুযোগ ছিল সেটিই।
৪২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে ব্যবধান ২-০ করেন এনজো
ফার্নান্দেজ। নিজেই আক্রমণের শুরু করেছিলেন। ডি মারিয়ার পা হয়ে বল চলে যায়
প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে। ফাঁকায় দাঁড়ানো লো সেলসোই গোল পেতেন। তবে বল
প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে চলে আসে ফাঁকায় থাকা এনজোর সামনে। সহজেই তা জালে
জড়ান চেলসির মিডফিল্ডার।
বিরতির পরও দেখা মিলেছে একই চিত্রের।
আর্জেন্টিনার দাপটের সামনে এল সালভাদরের রক্ষণ পরাস্ত হয়েছে বারবার।
এরমাঝেও অবশ্য টিকে ছিলেন গোলরক্ষক মারিও। ৫২ মিনিটে ম্যাচে আর্জেন্টিনার
তৃতীয় গোলটি করেন লো সেলসো। তিন গোলে এগিয়ে গিয়েও আক্রমণের ধার কমায়নি
আর্জেন্টিনা।
শেষদিকে তিন মিডফিল্ডার লো সেলসো, ডি পল এবং এনজোকে তুলে
নিলে কিছুটা খেই হারায় আর্জেন্টিনার আক্রমণ। আলেহান্দ্রো গার্নাচো কিছুটা
চেষ্টা করেছিলেন বটে। তবে সেটা খুব বেশি কাজে আসেনি। ম্যাচ শেষ হয়েছে ৩-০
গোলের ব্যবধানেই।