২০১০
সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরের ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক
আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় শরফুদ্দৌলার। এখন পর্যন্ত পুরুষদের ১০টি টেস্ট,
৬৩টি ওয়ানডে ও ৪৪টি টি-টোয়েন্টিতে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন
করেছেন। এর পাশাপাশি মেয়েদের ১৩টি ওয়ানডে ও ২৮টি টি-টোয়েন্টিতেও দায়িত্ব
পালন করেছেন। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার মারাই এরাসমাস অবসরে যাওয়ার পর থেকে
শরফুদ্দৌলার এলিট প্যানেলে ঢোকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এলিট প্যানেলে
সুযোগ পাওয়া শরফুদ্দৌলা বলেছেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলে নাম আসাটা দারুণ
সম্মানের। আমাদের দেশের প্রথম ব্যক্তি বলে এটি আরও বিশেষ ব্যাপার। আমার ওপর
যে আস্থা রাখা হয়েছে, তার প্রতিদান দিতে উন্মুখ হয়ে আছি। বেশ কয়েক বছর
ধরেই আমার কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আরও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত
আমি।’
সর্বশেষ বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের
দায়িত্ব পালন করা শরফুদ্দৌলা আরও বলেন, ‘আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ, আমাকে
সমর্থন জোগানোর জন্য। সহায়তা ও নির্দেশনার জন্য আমার অন্য সহকর্মীদেরও
ধন্যবাদ। আমার পরিবার ও বন্ধুদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে সমর্থন দিয়ে
যাওয়ার জন্য।’
আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেল থেকে এবার এলিট প্যানেলে
আম্পায়ার নির্বাচন করার জন্য যে নির্বাচক কমিটি কাজ করেছে, তাতে ছিলেন
আইসিসির ক্রিকেট মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খান, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার
সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, সাবেক আম্পায়ার টনি হিল এবং বিশেষজ্ঞ পরামর্শক মাইক
রাইলি।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস শরফুদ্দৌলাকে অভিনন্দন
জানিয়ে বলেছেন, ‘আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হওয়ায় শরফুদ্দোউলাকে
অভিনন্দন। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এ প্যানেলে আসার অর্জনের
স্বীকৃতি দিতে চাই। অনেক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও আইসিসি টুর্নামেন্টে
ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য এটি তার প্রাপ্য পুরস্কার।’
‘দেশের মাঠে
ম্যাচ করার সময় কিছু খেতে পারি না’২০২৩ পুরুষ বিশ্বকাপের আগে ২০১৭ ও ২০২১
সালে আইসিসির নারী বিশ্বকাপ, ২০১৮ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্ব
পালন করেন শরফুদ্দৌলা। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচও
পরিচালনা করেছেন।
এদিকে শরফুদ্দৌলার এলিট প্যানেলে আসার দিনে আইসিসির
ম্যাচ রেফারিদের এলিট প্যানেল থেকে বাদ পড়েছেন ক্রিস ব্রড। ২০০৩ সাল থেকে
দায়িত্ব পালন করে আসা ব্রড পরিচালনা করেছেন ১২৩টি টেস্ট, ৩৬১টি ওয়ানডে ও
১৩৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ার
কুমার
ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ
(ইংল্যান্ড), আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওর্থ
(ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা
(পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ),
রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) ও জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।