নানান
অনিয়মের দায়ে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এসময় স্বাস্থ্য
বিভাগের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা সদর উপজেলা
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহমেদ মনজুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের
কর্মকর্তা রাহাত বিন কাশেম ও মেহেদী হাসান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
কানিজ ফাতেমা জানান, কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল কুমিল্লা টাওয়ার
ভবনটিতে দীর্ঘদিন যাবত নষ্ট লিফট কোনরকম মেরামত করেই রোগী ওঠানামা
করাচ্ছিলো বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে অভিযোগ আসে। বারবার ঝুঁকি নিয়ে রোগে
ওঠা নামা করানোর সময় সম্প্রতি অন্তত দুইবার লিফট বন্ধ হয়ে রোগী আটকে পড়ার
ঘটনা ঘটে। আজ পর্যবেক্ষণে এসে দেখা গেছে সেই লিফ্টটিকে স্থায়ীভাবে মেরামত
না করেই আবার রোগী ওঠানামার কাজ চলছিল। একই লিস্ট ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায়
সেটিকে সিলেগালা করে দেয়া হয়। তাদেরকে গণপূর্ত বিভাগের একজন প্রকৌশলী দিয়ে
এই লিফ্টটি চলাচলের উপযোগী কি না প্রত্যয়ন নিয়ে চালু করতে হবে।
এছাড়াও
তিনি আরো জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভবনটির বেজমেন্টে
অন্তত ১৩ টি ডাক্তারের চেম্বার চালু রেখেছিল। যা নিয়ম বহির্ভূত। সেগুলোকেও
বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। নানান অনিয়মের দায়ে এই হাসপাতালটিকে দুই
লাখ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুমিল্লা
মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল যা কুমিল্লা নগরীতে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতাল
নামে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে রোগী সহ অন্তত তিনবার লিফট আটকে পড়ার ঘটনা
ঘটে। এসব ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।