শেষের বাঁশি
বাজতেই শুরু হলো উৎসব। কেউ একজন ছুটে এসে খেলোয়াড়দের হাতে ধরিয়ে দিলেন
মোহামেডানের পতাকা। প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের শিরোপাধারী মেরিনার ইয়াংসকে
হারিয়ে এমন বাঁধনহারা উদযাপন করল জিমি-সারিরা।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি
স্টেডিয়ামে দুই বড় দলের আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ের সমাপ্তি
হয়েছে মোহামেডানের ৩-২ গোলের জয়ে। মোহামেডানের দ্বীন ইসলাম ইমন, ফায়জাল বিন
সারি ও আমিরুল ইসলাম পান জালের দেখা। মেরিনার্সের গোলদাতা ফজলে হোসেন
রাব্বী ও আবেদ উদ্দিন।
ছয় দলের সুপার লিগ পর্বে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছিল মেরিনার্স ও মোহামেডান। সোমবার দুই দল নেমেছিল মর্যাদার লড়াই।
একাদশ
মিনিটে ইমনের ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ঘুরে
দাঁড়ায় মেরিনার্স। প্রতিপক্ষের রক্ষণে বারবার হানা দিয়ে অবশেষে ২৭তম মিনিটে
রাব্বীর হিটে সমতায় ফেরে দলটি। এরপর তৃতীয় কোয়ার্টারে আবেদের ফিল্ড গোলে
এগিয়েও যায় তারা।
ম্যাচের বাকি অংশটুকু মোহামেডানময়। মালয়েশিয়ান খেলোয়াড়
সারি ৪২তম মিনিটে নিপ্পনকে পরাস্ত করলে সমতার স্বস্তি আসে সাদাকালো
শিবিরে। ৫৪তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আমিরুলের হিট ঠিকানা খুঁজে পেলে
এগিয়ে যায় তারা। এই ব্যবধান ধরে রেখে বাকিটা সময় পার করে দিয়ে সপ্তম জয়ের
উচ্ছ্বাসে মাতে মোহামেডান।
ফাউলের একাধিক ঘটনা এবং কার্ড দেখানোকে
কেন্দ্র করে ম্যাচে বারবার রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ফেডারেশনের
কর্মকর্তারাও নেমে আসে মাঠে। তাতে, এক ঘণ্টার ম্যাচ শেষ হতে লেগে যায় প্রায়
দুই ঘণ্টার মতো।
ঊষা ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে হেরে আসর শুরু করেছিল
মেরিনার্স। এরপর থেকে একের পর এক জয়ে উড়ছিল তারা। মেরিনার্সের টানা সাত
ম্যাচের অজেয়যাত্রা থামাল মোহামেডান।
চলতি আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আছে
দুই দল- আবাহনী ও মোহামেডান। ৯ ম্যাচে আট জয় ও এক ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে
টেবিলে শীর্ষে আবাহনী; সাত জয় ও দুই ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে
রয়েছে মোহামেডান।
সাত জয় ও এক ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ঊষা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর ছয় জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শিরোপাধারী মেরিনার্স।