সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একটি গ্রামের ৮-১০ টি পরিবারের লোকজনেরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে।
বুধবার
সকাল ৮ টায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের ৮-১০ টি পরিবারের
লোকজন স্থানীয় জগতপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতর এর নামাজ
আদায় করেছেন। অপর দিকে একই উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন এর পারুয়ারা
গ্রামে ১৫-২০ পরিবারের লোকজন একই সময় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ
আদায় শেষে তারা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে যথাযথ ভাবে আনুষঙ্গিক বিষয়াদি
সম্পন্ন করেছেন।
স্থানীয় বিশিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা ইমতিয়াজ
আহমেদ ইমন জানান সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে মঙ্গলবার সেই হিসেবে ঈদুল
ফিতর উদযাপন হবে বুধবার। এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে আমরা ঈদের নামাজ আদায়ের
মাধ্যমে রোজা ভংগ করা হয়। আমরা মুসলমান তাই সৌদি আরবের নিয়ম নীতি অনুসরণ
করে বুধবার ৮ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। তিনি আরও জানান বুড়িচং
উপজেলার সদর ইউনিয়ন এর জগতপুর গ্রামের ৮-১০ টি পরিবারের লোক জন সৌদি আরবের
নিয়ম নীতি এবং ঈদের তারিখ মিল রেখে রোজার ঈদুল ফিতরের নামাজ সকাল ৮টায় আদায়
করেন। স্থানীয় জগতপুর পূর্বপাড়া ভূইয়া বাড়ী জামে মসজিদে পেস ইমাম মাওলানা
মোঃ মহসিন কবির ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন। স্থানীয় আবুল হাসেম
মাষ্টার জানান কয়েক বছর পূর্বে আমরা সংখ্যায় বেশী ঈদের নামাজ আদায় করা হত
বা ঈদ উৎসব পালন করা হত। গ্রাম বাসীর সামাজিক চাপে অধিকাংশ মুসলমান বা
মুসল্লি আসেন না । পূর্বে কয়েক শত মুসলমান সৌদি আরবের রীতি অনুযায়ী এই
গ্রাম সহ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উৎসব পালন করা
হত। বিশেষ করে আমাদের জগতপুরে গ্রামে ও সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আমরা চেষ্টা
করছি পবিত্র মক্কা মদিনা নগরীর সাথে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য মিল রাখা। অপর
দিকে একই উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন এর পারুয়ারা গ্রামে একই দিন একই
সময় ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর বাড়ীর ছাদে ১৫-২০ টি পরিবার এর লোকজন
ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। ফখরুল ইসলাম মুন্সী জানান স্থানীয় মসজিদের
পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম ঈদুল ফিতর এর নামাজে ইমামতি করেন।