কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ধারণক্ষমতার তিনগুণ বেশি শিশুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। সোমবার দুপুরে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ওয়ার্ডের সামনে বোর্ডে লেখা সিট সংখ্যা ৪০। শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা ১২১ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার ৮১ জন বেশি শিশু যদি চিকিৎসা নিচ্ছেন ওখানে। ওয়ার্ডের মেঝেতে এবং বারান্দায় পাটিতে শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অতিরিক্ত রোগীদের। প্রতিটি শিশুরোগির সাথে বাবা-মা ও স্বজনরা গাদাগাদি করে থাকছেন। অতিরিক্ত মানুষের কারণে গরমে হাসফাস অবস্থায় রোগী এবং উপস্থিত সকলের।
জানা গেছে, প্রচন্ড গরমের কারণে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শিশুদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগই ডায়রিয়া ও নিমোনিয়াতে আক্রান্ত। যারা নানান ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত তাদের অবস্থায় বেগতিক। বয়স্করা বেশির ভাগই হিটস্ট্রোক এবং পানিশূণ্যতায় ভুগে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় জায়গা দিতে হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায়। অতিরিক্ত রোগীর কারণে ওয়ার্ডগুলোতেও হাঁসফাস অবস্থা।
রোগের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। হঠাৎ করে জ্বর উঠে আর থামছে না, নিয়ে আসতে হয়েছে হাসপাতালে। কোন কোন শিশুর পরিবারের সবাই জ্বরে আক্রান্ত। এছাড়া দেখা গেছে অনেক চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, গরমের কারণেই এসব চর্মরোগ বাড়ছে বলে ধারণা তাদের।
রোগের স্বজনেরা জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধু কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নয় বাইরের জেলা থেকেও রোগীরা আসে। যে কারণে শিশু ওয়ার্ড পূর্ণ হয়ে এখন হাসপাতালের বারান্দায় ও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মুজিবুর রহমান জানান, বাইরে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় শিশুরা বেশি জ্বর আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার রোগী রোগ আসছেন হাসপাতালে ছুটে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যত রোগীই আসছে তাদের সাধ্যমত সেবা দেয়া হচ্ছে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ মো: ফজলে রাব্বি জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গরমের কারণে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। মেডিকেলের শিশু ওয়ার্ডে ৪০ জনের সিট থাকলেও আমরা বর্তমানে ১২১ জনকে চিকিৎসা দিচ্ছি। পুরো হাসপাতালে ৫ শ সিটের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২৮৭ জন রোগী।