দেশের
সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। মহাসড়ক ও
এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে
ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার।
গত ৫ মে
‘মোটরযানের গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪' জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও
সেতু মন্ত্রণালয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল ইসলামের
সই করা নির্দেশনাপত্রে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে
(বিআরটিএ) এ নির্দেশিকা কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী,
প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের মতো হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি এবং বাস-মিনিবাসের
মতো মধ্যম ও ভারী যাত্রীবাহী গাড়ি জাতীয় মহাসড়ক (একমুখী) ও এক্সপ্রেসওয়েতে
সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (দ্বিমুখী) ৭০ কিলোমিটার,
জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, উপজেলা, সিটি করপোরেশনের মধ্য দিয়ে ৪০ কিলোমিটার
গতিতে চলবে। এছাড়া শহর এলাকার সংকীর্ণ সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে এসব যানের গতি ৩০
কিলোমিটার রাখতে হবে।
মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায়
সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (একমুখী ও দ্বিমুখী) ও জেলা সড়কে ৫০
কিলোমিটার, উপজেলা, সিটি করপোরেশনের মধ্য দিয়ে ৩০ কিলোমিটার গতি রাখতে
হবে। এছাড়া শহর এলাকার সংকীর্ণ সড়কে ২০ ও গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটারে গতিতে
মোটরসাইকেল চালাতে হবে।
ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান ইত্যাদি
মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযান জাতীয় মহাসড়ক
(একমুখী) ও এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে
(দ্বিমুখী) ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার এবং উপজেলা ও সিটি
করপোরেশনের মধ্য দিয়ে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে।
এদিকে এক্সপ্রেসওয়ে ও
জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচল নিষেধ করা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়।
অন্যান্য সড়কে অনুমতি সাপেক্ষে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটারে তিন চাকার
গাড়ি চলাচল করতে পারবে।
উপরে উল্লেখ করা গতিসীমা না মানলে সংশ্লিষ্টদের
বিরুদ্ধে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে
নির্দেশনাপত্রে উল্লেখ করা হয়।