ইতালিয়ান
ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে বড় চমক দেখিয়েছেন আলেহান্দ্রো তাবিলো। বিশ্বের এক
নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচকে সরাসরি সেটে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছেন
তিনি। এতে দারুণ উচ্ছ্বসিত চিলির এই খেলোয়াড়।
রোমে রোববার পুরুষ এককে
রেকর্ড ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচকে স্রেফ ৬৭ মিনিটেই ৬-২,
৬-৩ গেমে উড়িয়ে দেন র্যাঙ্কিংয়ে ৩২ নম্বরে থাকা তাবিলো।
ক্যারিয়ারে এই প্রথম র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশের কাউকে হারালেন তিনি।
ম্যাচজুড়ে
দাপট দেখান তাবিলো। চারবার সার্বিয়ান তারকার সার্ভিস ব্রেক করেন তিনি।
পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে একটি ব্রেক পয়েন্টও তিনি পেতে দেননি।
এমন জয়ের পর যেন অবিশ্বাসের ঘোরে আছেন ২৬ বছর বয়সী তাবিলো।
“অবিশ্বাস্য।
আমি স্রেফ স্নায়ু ধরে রাখার চেষ্টা করছিলাম। যখনই মনে হয় যে শেষের
কাছাকাছি এসেছি, বাহু একটু শক্ত হয়ে যায়। এসব নিয়ে না ভাবার এবং পয়েন্ট বাই
পয়েন্ট এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম শুধু। পাগলাটে ব্যাপার। বিশ্বাস করতে
পারছি না কী ঘটেছে।”
গত ১৭ বছরে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়কে
হারানো চিলির প্রথম খেলোয়াড় তিনিই। এর আগে সবশেষ ২০০৭ সালে তখনকার এক নম্বর
রজার ফেদেরারকে এটিপি ফাইনালসে হারিয়েছিলেন ফের্নান্দো গনসালেস।
ইতালিয়ান ওপেনে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ ২০০৬ সালের পর এই প্রথম প্রতিযোগিতাটিতে অন্তত কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেন।
গত
শুক্রবার দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের পর অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় গ্যালারি থেকে উড়ে
আসা একটি পানির বোতল পড়েছিল জোকোভিচের মাথায়। ওই আঘাতের প্রভাব তার
পারফরম্যান্সে পড়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
“সত্যিই আমার ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে। ওই ঘটনায় আমার চিকিৎসা নিতে হয়েছিল, আধা ঘন্টা ধরে আমার বমি বমি ভাব ছিল, মাথা ঘুরছিল।”
“ঠিকভাবে
অবশ্য ঘুমাতে পেরেছিলাম, তবে আমার মাথাব্যথা ছিল। পরের দিন বা গতকাল
অবস্থা বেশ ভালো ছিল, তাই ভেবেছিলাম সব ঠিক আছে। হয়তো ঠিকই আছে, হয়তো নয়।
আজ কোর্টে নিজেকে পুরোপুরি অন্য খেলোয়াড় মনে হয়েছে আমার। কোনো ছন্দ নেই,
কোনো শটে ভারসাম্য নেই। একটু চিন্তার বিষয়।”
৩৬ বছর বয়সী এই তারকা চলতি
বছরে এখনও কোনো ফাইনালে উঠতে পারেননি। ফরাসি ওপেনের শিরোপা ধরে রাখার
প্রস্তুতির লক্ষ্যে ক্লে কোর্টে এই বছরে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬টি ম্যাচ
খেলেছেন তিনি।
বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফরাসি ওপেন মাঠে গড়াবে আগামী ২৬ মে।