নিজস্ব
প্রতিবেদক: পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়
অবস্থানরত গভীর নি¤œচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা
৬টায় বঙ্গোপসাগরের গভীর নি¤œচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বলে বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর।
সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেমাল’; এটা ওমানের দেওয়া নাম।
ঘূর্ণিঝড়
কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর এবং
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ার সংকেত
দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাত ৮টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর
থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০
কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা
সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
সাগরে কোনো
ঘূর্ণিবায়ুর চক্র তৈরি হলে এবং এর কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ
গতিবেগ ৬২ কিলোমিটারের বেশি হলে তখন তাকে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শক্তির বিচারে ঘূর্ণিঝড়কে চারটি মাত্রায় ভাগ করেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
* বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার হলে তাকে ‘ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়।
* বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮৯-১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়।
* বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১৮-২১৯ কিলোমিটার হলে তাকে ‘হারিকেনের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়।
* বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার হলে তাকে সুপার সাইক্লোন বা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়।
সর্বশেষ
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম, যা পরে
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। সে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব
বাংলাদেশে পড়েনি।
তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ গত ১৭
নভেম্বর দুপুরে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ
দিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে। তাতে গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি ছাড়াও মৃত্যু
হয় নয়জনের।