বঙ্গবন্ধু
কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে টানা চতুর্থবার ফাইনালে উঠেছে
স্বাগতিক বাংলাদেশ। আজ মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত
দিনের প্রথম সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে ৩টি লোনাসহ ৪১-১৮ পয়েন্ট ব্যবধানে
হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজের দল।
গুরুত্বপূর্ণ এই
ম্যাচে সেরার পুরস্কার জিতে নেন বাংলাদেশের তারকা রেইডার অধিনায়ক
আরদুজ্জামান মুন্সি। তিনি একাই তুলে আনেন মূল্যবান ১১ পয়েন্ট।
ম্যাচের
শুরুতেই বাজিমাত বাংলাদেশের। খেলার মাত্র ১২ সেকেন্ডেই বোনাসসহ
থাইল্যান্ডের কাছ থেকে ৪ পয়েন্ট তুলে আনেন আরদুজ্জামান। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে
প্রথম লোনা অর্জন বাংলাদেশের। এ সময় ১০-১ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ১৯
মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় লোনা বাংলাদেশের। আরদুজ্জামান, মিজানুররা এগিয়ে ছিল
২৩-৭ পয়েন্ট ব্যবধানে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি
থাইল্যান্ড।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশের সামনে অসহায়
আত্মসমর্পন থাইল্যান্ডের। খেলার ২৮ মিনিটে তৃতীয় লোনা (৩৪-১২ পয়েন্ট এগিয়ে
বাংলাদেশ) তুলে একচেটিয়া ম্যাচ জয় স্বাগতিকদের। প্রধান অতিথি হিসেবে
ম্যাচসেরার হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, এমপি
এবং দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম।
বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল
বলেন, 'আমি গতকালই বলেছিলাম থাইল্যান্ডকে হারিয়ে আমরা ফাইনালে যেতে চাই।
ছেলেরা দারুণ খেলে আজ সেই উপলক্ষ এনে দিয়েছে। ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি
সন্তুষ্ট। ওরা শুধু আজ সেমিফাইনালেই নয়; পুরো টুর্নামেন্ট অর্থাৎ গ্রুপপর্ব
থেকে সেমিফাইনাল ৬ ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে। গত তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হলেও
এবারের দলটাকে আমি বলব সবচেয়ে দুর্দান্ত।'
কাকতালীয়ভাবে গত আসরের দুই
সেমিফাইনালিস্ট এবারো মুখোমুখি হয়। অভিন্ন প্রতিপক্ষের ম্যাচের ফলাফলও
অভিন্ন। শুধু পার্থক্য ভেন্যুতে। গত বছর বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল থাইল্যান্ড। পল্টনের
শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে সেদিন থাইল্যান্ডকে ৪৫-২৬ পয়েন্ট ব্যবধানে
হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
আগামীকাল এবারের আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে নেপাল ও কেনিয়ার মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ী দল।
মায়ামিতে রেকর্ড গড়ে কোপা দলে যোগ দিচ্ছেন মেসি
প্রায়
সব ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষের দিকে। এবার ফুটবলাররা
ব্যস্ত হয়ে পড়বেন দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ইউরো ও কোপা আমেরিকায়। তার
আগে ইন্টার মায়ামির হয়ে ম্যাচ খেলে ক্লাব ফুটবল থেকে বিরতিতে যাচ্ছেন
লিওনেল মেসিরা। এদিন অবশ্য একটি গোলে রেকর্ডও গড়েছেন এই আর্জেন্টাইন
মহাতারকা। যদিও মায়ামিকে শেষ পর্যন্ত সেইন্ট লুইস সিটির সঙ্গে ৩–৩ গোলে ড্র
নিয়ে ফিরতে হয়েছে।
আজ (রোববার) ভোরে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে মেজর লিগ
সকারের (এমএলএস) ম্যাচে নেমেছিলেন মেসি–সুয়ারেজরা। পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ার
লড়াইয়ে তারা দুই দফাতেই পিছিয়ে পড়ে কামব্যাক করেন। তবে লুইস সুয়ারেজের
আত্মঘাতী গোলের কারণে আর জয় পাওয়া হয়নি। যদিও উরুগুইয়ান তারকা নিজের দলের
হয়েও একটি গোল করেছেন, মায়ামির বাকি দুটি গোল আসে মেসি ও জর্দি আলবার পা
থেকে।
এদিন ম্যাচজুড়ে মায়ামির গোলাপি শিবির দাপট দেখালেও, তাদের বিপক্ষে
দু’বারই লিড নিয়েছিল সেন্ট লুইস। শেষবার সুয়ারেজের কল্যাণে আসে তৃতীয়
লিডও। তবে মায়ামি হার এড়িয়েছে আলবার ফিনিশিং টাচে। এর আগে ম্যাচের পঞ্চদশ
মিনিটেই ক্রিস ডার্কিনের গোলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। ২৫ মিনিটে মায়ামির পক্ষে
সমতা টানা গোলটি করেন মেসি। গোল ও অ্যাসিস্ট দুটিই ছিল দেখার মতো, আলবার
বাড়ানো পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক গোলটি
করেন। যা চলতি মৌসুমে মেসির ২৫তম গোল, আমেরিকান প্রতিযোগিতায় এটি সবচেয়ে
দ্রুততম। এর আগে ২০১৬ সালে ১৬ ম্যাচে একই সংখ্যক গোল করেছিলেন কার্লোস
ভেলা, মেসি সেই রেকর্ড ভাঙলেন ১২ ম্যাচে।