কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনায় মা ও দুই ভাইকে সায়েস্তা করতে
কিশোরগ্যাং ভাড়া করে দফায়-দফায় হামলা, বাড়ী-ঘর ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের
অভিযোগ উঠেছে শিবপুর উত্তর পাড়ার মরহুম মৌলভী মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল
বারিক (৪৫), বারিকের স্ত্রী তাছলিমা বেগম মায়া (৩৮), ছেলে হাছান (১৭),
বারিকের অপর ভাই তৈয়ব আলী (৫০), তার স্ত্রী জাহানারা বেগমের (৪৫) বিরুদ্ধে।
এ সময় আব্দুল বারিকের ভাড়া করা কিশোরগ্যাং লিডার পাশ্ববর্তী উত্তর মাহিনী
গ্রামের একরামুল হকের ছেলে রিমন (১৬), খোকন মিয়া সহ ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী
গ্রুপ ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশগ্রহণ করে। এ সময় স্থানীয়রা
কিশোরগ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে একটি ধারালো রামদা ও একটি চাইনিজ
কুড়াল-সহ উত্তর মাহিনী গ্রামের খোকন মিয়াকে আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশে
সোপর্দ করে। হামলায় আহতরা হলেন, মরহুম মৌলভী মমতাজ উদ্দিনের বৃদ্ধা স্ত্রী
আঙ্গুরের নেছা, ছেলে আইয়ুব আলী, জহিরুল ইসলাম জয়নাল আহত হয়। আহতদের স্থানীয়
ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে আহত জহিরুল ইসলাম
জয়নাল বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ২টি ধারালো অস্ত্র
নিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক খোকন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে
প্রেরণ করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
হামলায় আহত আইয়ুব আলী ও জহিরুল ইসলাম
জয়নাল বলেন, আমাদের ভাই আব্দুল বারিক বাড়িতে ঘর নির্মাণ করার সময় জোর
পূর্বক বাড়িতে একটি পুকুর খনন করে। এখন আমরা ঘর করার জন্য বাড়িতে সেই
পরিমাণে জায়গা না থাকায় সবাই মিলে পুকুরটি ভরাটের প্রস্তাব করি। এতে আমার
ভাই বারিক ও তৈয়ব আলী পুকুর ভরাটের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে
আমাদের ভাই বারিক ও তৈয়ব কয়েক দফায় আমাদেরকে আক্রমন করে ও হত্যার হুমকি
দেয়। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে আমাদের মা বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রামবাসীকে
নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসে। দুপুরে সালিশ চলাকালে আমার ভাই বারিক, তৈয়ব, তাদের
স্ত্রী মায়া, জাহানারা, বারিকের ছেলে হাসান আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে
রাতে আমার ভাই বারিক ও তার ছেলে হাসান পাশ্ববর্তী উত্তর মাহিনী গ্রাম থেকে
কিশোরগ্যাংয়ের ১৫-২০জন সন্ত্রাসী এনে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ
সময় আমাদের আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময়
অস্ত্র-সহ একজনকে আটক করে।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল বারিক ও
তৈয়ব আলীর বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরে তলা লাগানো ও কাউকে না পাওয়ায় এবং মোবাইল
ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, হামলার খবর পেয়ে গ্রামবাসী ধাওয়া করে অস্ত্র-সহ এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আটককৃত যুবককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।