প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে
বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রোববার
সন্ধ্যায় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর
মধ্যে একান্ত বৈঠকে তাঁরা এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির
বৈঠক নিয়ে কথা বলেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত উষ্ণ ও
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ
হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন,
বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে।’ নরেন্দ্র
মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
জানিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বৈঠকের পর দুই
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত
ভোজসভায় যোগ দেন। ভারতের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল,
অন্যান্য দেশের আমন্ত্রিত সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরাও নৈশভোজে অংশ নেন।
সেখানে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন।
নরেন্দ্র মোদি ১০
বছর ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনাও ১৫ বছর
ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিবেশী দুই দেশের
এই দুই প্রধানমন্ত্রীর একে অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি সম্পর্কিত
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে
বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয় জড়িত। যেহেতু উভয় সরকার
দীর্ঘদিন ধরে দেশ পরিচালনা করছে, তাই তাঁদের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার কিছু
সুবিধাও আছে।’
উভয় দেশের জনগণ বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত হচ্ছে জানিয়ে
হাছান মাহমুদ আশা প্রকাশ করেন, ‘আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও
সম্প্রসারিত ও গভীর হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের
মধ্যে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর
প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের নতুন সরকারের শপথ
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে যোগ দিতে গত শনিবার
নয়াদিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং ভারতের এক কেন্দ্রীয়
মন্ত্রীর সঙ্গে সকালে তাঁর অবস্থানস্থলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি
পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।