শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
৭ পৌষ ১৪৩১
জুলাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ দিয়ে ভারত যাবে ট্রেন
প্রকাশ: রোববার, ৩০ জুন, ২০২৪, ৯:২৬ পিএম |

জুলাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ দিয়ে ভারত যাবে ট্রেন জুলাইতে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে একটি মালবাহী ট্রেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পাইলট প্রকল্পের অংশ এটি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেছেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। কিন্তু এই রুট থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে, তা অনিশ্চিত বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ তাদের।  

রেল ট্রানজিট নিয়ে গত ২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী, ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে।

এর অংশ হিসেবে প্রথম পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের দর্শনা-চিলাহাটি হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে মালবাহী ট্রেন। পরবর্তীতে এই রুট ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে ভুটান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় জেনেছেন দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভালো হবে তার জন্য দুই দেশের সরকার ও জনগণ অপেক্ষা করছে।’

দুদেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের রেললাইনে চালানোর সক্ষমতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা উচিত।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের রেলপথ তারা (ভারত) ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করলেও সেটা যেন আবার একটা সরাসরি থ্রু করিডর না হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি নেপাল বা ভুটানে নিয়ে যাবে, কিন্তু এই করিডর ব্যবহার করে আমরা রপ্তানি সুবিধা পাব না সেক্ষেত্রে কিন্তু দর কষাকষির ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে থাকব।’

তবে রেল মন্ত্রণালয় বলছে, ট্রেন যোগাযোগ বাড়লে দুই দেশের বাণিজ্যই বাড়বে। তারপরও সমীক্ষা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ভারত কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিনা সেই আলাপ কিন্তু আমাদের এখনও হয়নি। আমরা যখন এই লাইনগুলো এক্সটেনশন করব, তখন কি হবে সেটা সেপারেট থিং, আমরা পরে আলাপ করব। কোথা থেকে আমরা ফান্ডিংটা নেবো, নিজস্ব অর্থায়ণে করব নাকি আলাদা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার থেকে নেবো, সেটা এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নেই নি।’

ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা হয়ে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথে দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। ট্রেনে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু বাংলাদেশ হয়ে গেলে দূরত্ব কমবে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটারে। সময় লাগবে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা।












সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লায় রোপা আমন ধান কাটার উৎসব
কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন নিয়ে উদ্যোগ নেই
নগরীর চাঙ্গিনীতে দখলকৃত সরকারি রাস্তাটি আজও দখলমুক্ত হয়নি
যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ লাকসামে ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, আড়াই ঘন্টা পর ছেড়ে গেলো ট্রেন
বিচার বিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে ... হাবিব উন নবী সোহেল
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
লটারীতে যাদের নাম আসেনি, তারা যাবেন কোথায় ?
কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুমিল্লায় ঝগড়া থামাতেগিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
লাকসামে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো ফাউন্ডেশন উদ্বোধন
মনোহরগঞ্জে আইডিয়াল ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২