টানা
দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর নকআউট পর্বে এসেছে অস্ট্রিয়া। ২০২০ সালের পর এবারও
যথারীতি শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে ব্রুসচেনরা। এবার তুরস্কের বাধা
টপকাতে পারলেই ইতিহাস গড়বে তারা। প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিবে কোয়ার্টার
ফাইনালে।
অন্যদিকে তুরস্ক জয় পেলে ১৬ বছর পর জায়গা করে নিবে কোয়ার্টার
ফাইনালে। সবশেষ তারা ২০০৮ ইউরোর শেষ আটে খেলেছিল। সেবার অবশ্য সেমিফাইনালেও
উঠেছিল তারা।
অস্ট্রিয়া অবশ্য এবার গ্রুপপর্বে দারুণ খেলে নকআউট পর্বে
এসেছে। প্রথম ম্যাচে তারা ফ্রান্সের সঙ্গে দারুণ লড়াই করে ১-০ গোলে হার
মানে। এরপর পোল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় ৩-১ গোলে। শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে
৩-২ গোলে হারিয়ে আসে শেষ ষোলোতে।
তুরস্কেরও সূচনাটা দারুণ হয়েছিল। প্রথম
ম্যাচে তারা জর্জিয়াকে হারায় ৩-১ গোলে। পরের ম্যাচে অবশ্য খেই হারায়
পর্তুগালের বিপক্ষে। হেরে যায় ৩-০ গোলে। শেষ ম্যাচে চেকিয়াকে ২-১ গোলে
হারিয়ে জায়গা করে নেয় নকআউট পর্বে।
১৯৪৮ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তুরস্ক ও
অস্ট্রিয়া ১৭টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে অস্ট্রিয়া জিতেছে ৯টিতে।
তুরস্ক জিতেছে ৭টিতে। ১টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। সবশেষ পাঁচবারের দেখায় দুইবার
জিতেছে অস্ট্রিয়া, দুইবার জিতেছে তুরস্ক। একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।
পরিসংখ্যান
থেকে বোঝা যাচ্ছে এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সেই লড়াই
জিতে অস্ট্রিয়া ইতিহাস গড়ে নাকি তুরস্ক ১৬ বছর পর শেষ আটে যায় দেখার বিষয়।
অস্ট্রিয়ার
সম্ভাব্য শুরু লাইনআপ: পেন্টজ, পোশ, ড্যানসো, লিয়েনহার্ট, মুয়েন,
সেইওয়ল্ড, গ্রিলিটচ, স্মিড, বামগার্টনার, সাবিৎজার ও আরনাউটোভিক
তুরস্কের সম্ভাব্য শুরুর লাইনআপ: গুনক, মুলদুর, ডেমিরাল, বারদাকচি, কাদিওগ্লু, ইউকসেক, ইয়োকুসলু, কাহভেচি, গুলার, ইলদিজ ও ইলমাজ।