কোপা
আমেরিকার ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচেও জয় পায়নি ব্রাজিল। গ্রুপসেরা
কলম্বিয়ার সঙ্গে ড্র করেছে ১-১ গোলে। তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে
কোস্টারিকাকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। এ
নিয়ে ৩৫তম বারের মতো কোপা আমেরিকার শেষ আটে জায়গা করে নিলো সেলেসাওরা।
৩
ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট ও +৪ গোল গড় নিয়ে কলম্বিয়া আছে পয়েন্ট টেবিলের
শীর্ষে। সমান ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট ও +৩ গোল গড় নিয়ে ব্রাজিল আছে দ্বিতীয়
স্থানে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে কোস্টারিকা তৃতীয় ও কোনো পয়েন্ট না পেয়ে প্যারাগুয়ে
আছে টেবিলের তলানিতে।
কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে এই ম্যাচে ড্র’ই যথেষ্ট
ছিল ডোরিভাল জুনিয়রের শিষ্যদের জন্য। কিন্তু ম্যাচের ১২ মিনিটেই গোল করে
দলকে এগিয়ে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখান রাফিনহা। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা
সময়ে কলম্বিয়া গোল করে সমতা ফেরায়। আর সেই সমতা বাকি সময়ে আর ভাঙেনি। তাতে
জয়ও পাওয়া হয়নি ব্রাজিলের। গ্রুপসেরাও হতে পারেনি গতবারের রানার্স-আপরা।
এদিন
ম্যাচের ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এ সময় ডি বক্সের সামনে
জোয়াও গোমেজকে ফাউল করেন কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ। রেফারি ফ্রি কিক দেন।
ফ্রি কিক থেকে রাফিনহার বাকানো শট গোলপোস্টের উপরের ডান কোণা দিয়ে জালে
প্রবেশ করে।
১৫ মিনিটের সময় সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া।
এ সময় ফ্রি কিক থেকে হামেস রদ্রিগেজের নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে
লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২০ মিনিটে কলম্বিয়া গোল পেয়েছিলও। কিন্তু অফসাইডের কারণে
সেটি বাতিল হয়। ভিএআর চেকেও টেকেনি গোলটি।
এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা
সময়ে (৪৫+২) ড্যানিয়েল মুনোজের গোলে সমতা ফেরায় কলম্বিয়া। এ সময় ডি বক্সের
সামনে থেকে তাকে বল বাড়িয়ে দেন জন কর্ডোবা। ডানদিকে থাকা মুনোজ সেটি পেয়ে
যান বক্সের মধ্যে। দ্রুত এগিয়ে যান। তার সামনে ছিলেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক
অ্যালিসন বেকার। তিনিও কিছুটা এগিয়ে আসেন। তাকে পরাস্ত করে বল জালে জড়াতে
ভুল করেননি মুনোজ। তাতে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতির
পর উভয় দল সুযোগ তৈরি করতে থাকে, তার পাশাপাশি দিতে থাকে গোল মিসের মহড়া।
তাতে ১-১ গোলের সমতা আর ভাঙতে পারেনি কেউ। পূর্ণ পয়েন্টও পায়নি কেউ। পয়েন্ট
ভাগাভাগি করে কলম্বিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ব্রাজিল গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে
শেষ আটে জায়গা করে নেয়।