ঢাকায়
নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ)
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.
তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেছেন।
সাক্ষাৎকালে ভারতের হাইকমিশনার গত ২১ ও ২২ জুন ভারতে দ্বিপক্ষীয়
সফর করায় তার সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা
স্মারকসমূহ এবং অন্যান্য ঘোষণা ও উদ্যোগসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়নে
ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও ভারতের
হাইকমিশনার একমত পোষণ করেন। এছাড়াও ভারতের লাইন অব ক্রেডিট এর আওতাধীন
প্রকল্পসমূহ সাবলীলভাবে যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে উভয়েই বিশেষ
গুরুত্বারোপ করেন।
বিদায়ী সাক্ষাৎকালে ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার
কর্মকালীন সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি খাদ্য নিরাপত্তা,
পুষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বিষয়সমূহ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে
ইইউর নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য
সচিব বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন পরিক্রমায় ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক-এর
সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। পিকেএসএফের সঙ্গে
খাদ্য নিরাপত্তা, নারী ক্ষমতায়ন, ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করার বিষয়েও তারা
আলোচনা করেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ২০২৬ সালে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ
থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
জানান, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্মোথ ট্রানজিশন স্ট্রেটেজি
(এসটিএস) প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং উচ্চ পর্যায়ের
জাতীয় কমিটি এই কৌশলপত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর
মুখ্য সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ মসৃণ ও টেকসই
করার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিনিয়ত ইউএনসিডিপি ও জাতিসংঘের অন্যান্য
সংস্থাসমূহের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে।