কুমিল্লা
আদালতের ভিতর জাল জ্বালিয়েতি ও প্রতারণা করে দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা
আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন ফরম হাজিরা ওকালতনামা দরখাস্ত রেফ বিভিন্ন জায়গা
হতে কম্পিউটারের মাধ্যমে ছাপিয়ে স্বাক্ষর জাল করে এবং বিভিন্ন আইনজীবীর ছবি
স্ক্যান করে একাধিক দোকানে বিক্রয়ের দায়ে ৪ প্রতারককে আটক করে কুমিল্লা
আইনজীবী সমিতির সদস্য বৃন্দ। গতকাল ৯ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে কুমিল্লা
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া নেতৃত্বে টাউট
দালাল নির্মূল কমিটির অভিযান পরিচরনাকালে ৪ জনকে কে হাতেনাতে আটক করে।এবং
তাদের কাছ থেকে জাল ওকালতনামা ও দরখাস্ত উদ্ধার করে। পরে আইনজীবী সমিতির
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে
কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত
বিভিন্ন এডভোকেটের স্বাক্ষর জাল করে এবং কম্পিউটার থেকে ওকালতনামা,
হাজিরা,দরখাস্ত, রেফ আইনজীবী সমিতির কাগজপত্র চাপিয়ে বিভিন্ন দোকানে
দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পরে আইনজীবী সমিতির সদস্যদের
সন্দেহ হলে গতকাল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলার সাদকপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ অলিউল্লাহ রাফি,
কোতোয়ালি থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের জয়নাল আবদিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম রবিন,
কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ থানার বড় কেশতলা গ্রামের বাবুল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে
সৌরভ চন্দ্র মজুমদার, বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের মৃত্যু সুলতানা
আহমেদ এর ছেলে কামরুল হাসান,এরমধ্যে জাহিদুল হাসান রবিন আইনজীবী ভবন থেকে
দৌড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ৩ জনকে পুলিশ আটক করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ
করেছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া বলেন, চারজনকে আমিও আসামি করে অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করি। বর্তমানে আসামিরা আদালতের
মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।