দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮
দশমিক ৮৪ একর বনের জমি বেদখল হয়ে আছে। ফলে দেশের বনাঞ্চল দিন দিন সংকুচিত
হয়ে আসছে। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বনের জমি। ইতিমধ্যে ৮৮
হাজার ২১৫ জন সংরক্ষিত বনভুমির দখলদার চিহ্নিত হয়েছে। বনের এসব জমি দখল করে
গড়ে তোলা হয়েছে শিল্পকারখানা, রিসোর্ট ও বসতভিটা।
সোমবার রাজধানীতে
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত জলবায়ু পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক
থিমেটিক কমিটির সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কারওয়ান বাজারের কমিশনের
কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, অনেক জায়গায় বনের জমি দখল করে
চাষাবাদ করা হচ্ছে। প্রভাবশালীদের নাম থাকায় বনের জমি উদ্ধার হয় না। বিশেষ
করে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের বনভূমি হুমকির মুখে। সেখানে বন বিভাগও অবৈধ
দখলদারের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো অবস্থান নিতে পারছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে
মামলা করে দায় শেষ করা হচ্ছে। অবিলম্বে চিহ্নিত বন দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি
ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
সভায় কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিৎ
চন্দ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু,
পিকেএসএফের পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি
রিসার্চ এন্ড ডেভোলপমেন্টে নির্বাহী মোহাম্মদ সামসুদ্দোহাসহ পরিবেশ, বন ও
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পরিবেশ
অধিদপ্তর এবং বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।