সরকারি চাকরিতে
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবির আন্দোলনকে ঘিরে কুমিল্লায় পুলিশের দুটি ও
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায়
তিনটি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে।
এতে অজ্ঞাতনামা প্রায় আট হাজার আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩৭ জনকে।
বুধবার (২৪ জুলাই) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দাউদকান্দি থানার সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে কোটা
সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের দুইটি ও বিজিবির একটি
গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি
মামলা দায়ের করে। এতে ৩৪ জনের নামসহ ও অজ্ঞাত সাড়ে ৭ হাজার মানুষকে আসামি
করা হয়। বুড়িচং থানার মামলায় ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৪০ মানুষের বিরুদ্ধে
নামে মামলা দায়ের করা হয়। দাউদকান্দি থানায় ২৯ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০
জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির
সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক
উল্লাহ খোকন বলেন, কুমিল্লায় আমরা সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের
নেতৃত্বে বিএনপি–জামায়াতের নাশকতা প্রতিহত করেছি। কারও কোনো জানমালের ক্ষতি
হতে দেইনি।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিউল আলম
রায়হান জানান, সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আমরা গত ১৯ জুলাই
শান্তিপূর্ণ মিছিল করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ
সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর গুলি চালায় ও কুপিয়ে আহত করে। ভাঙচুর করা
হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিনের নিমতলীর বাসা ও নবাব
বাড়ি চৌমুহনীতে অবস্থিত মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুর
ব্যক্তিগত অফিস। এ সময় ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরও
২০ জন।
এদিকে, উল্টো যারা হামলা চালিয়েছে তারা বিএনপির দুই
নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। দুই মামলার বাদী মহানগর
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মুন ও যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন।
মামলায় তারা বিএনপির হামলায় নিজেদের আহত বলে দাবি করেন। অথচ তারা নিজেদের
অস্ত্রের মিস ফায়ারে আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, বুধবার মহাসড়কের কুমিল্লায়
দূরপাল্লার কিছু সংখ্যক বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা ছিল
কম। আঞ্চলিক সড়ক ও বাজারগুলোতে গাড়ি এবং মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। বিকেল
নাগাদ জেলার কিছু কিছু স্থানে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু হয়। তবে নেটের গতি ছিল
কম।