যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের
দুনিয়ার কোনো বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তার কেয়ামতের দিনের কোনো বিপদ দূর
করবেন। যে ব্যক্তি কোন ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তিকে ছাড় দেবে, আল্লাহ দুনিয়া
ও আখেরাতে তাকে ছাড় দেবেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা তার মুসলমান ভাইয়ের
সহযোগিতা করতে থাকে, আল্লাহও ওই বান্দার সাহায্য করতে থাকেন। যে ব্যক্তি
ইলম অর্জনের জন্য কোনো পথে চলে, তার জন্য আল্লাহ জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
আর যখনই কোনো সম্প্রদায় আল্লাহর কোন এক ঘরে একত্র হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ
করে ও অধ্যয়ন করে, তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়, তাদেরকে আল্লাহর রহমত
আচ্ছাদিত করে নেয়, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে নেয় এবং আল্লাহ তাআলা তার
নিকটবর্তী ফেরেশতাদের মধ্যে তাদের কথা আলোচনা করেন। আর যাকে তার আমল পিছিয়ে
রেখেছে, তার বংশ পরিচয় তাকে এগিয়ে নিতে পারবে না। (মুসনাদে আহমদ: ৭৪২৭)
ইসলামে
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, আল্লাহর কাছে মর্যাদার অধিকারী হওয়া ও জান্নাত
লাভ করার উপায় হলো উত্তম আমল। কুফর, শিরক বা গুনাহে লিপ্ত থাকলে শুধু বংশ
পরিচয়ের কারণে কেউ আল্লাহর কাছে প্রিয় হয় না।
হে মানুষ, আমি তোমাদের এক
নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি
যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক
মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো
সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। (সুরা হুজুরাত: ১৩)
কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে
জান্নাত লাভের শর্ত হিসেবে ঈমান ও নেক আমলের কথা বলা হয়েছে। জাহান্নামে
যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে শিরক, কুফর, জুলুম ও অন্যান্য পাপাচারের কথা।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে, আল্লাহ
তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের
কোনো সাহায্যকারী নেই। (সুরা মায়েদা: ৭২)
হাদিসে আল্লাহর রাসুল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্পষ্ট বলেছেন, যার আমল তাকে পিছিয়ে
রাখে, বংশ পরিচয়ের কারণে সে এগিয়ে যেতে পারবে না।