অলিম্পিকের
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে বাকি আছে আরও কিছুটা সময়। ফ্রান্সের সীন নদীতে
জমকালো আয়োজনে শত বছর পর অলিম্পিকের আয়োজন করার অপেক্ষায় ফ্রান্স। তবে এর
আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে ডোপিং এর কানাঘুষা। শুরুর আগেই ছিটকে গিয়েছেন
রোমানিয়ার ফ্লোরেন্টিনা ইউস্কোর। গেল বছরের এপ্রিলের ডোপ টেস্টে পজেটিভ
হওয়ার জেরে এবারের অলিম্পিক মিস করছেন তিনি।
অন্যদিকে এপ্রিলে চীনা
সাঁতার দলের ২৩ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডোপ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছিল
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস এবং জার্মান টেলিভিশন এআরডি। তিন বছর আগে
টোকিও অলিম্পিক চলাকালে চীনের সাঁতারু দলের এই ২৩ জনের শরীরে নিষিদ্ধ
হার্টের ওষুধ ট্রাইমেটাজিডিনের উপস্থিতি ছিল বলা জানা যায়।
কিন্তু
তারপরেও এবারের অলিম্পিকে আছেন সেই ২৩ সদস্যের মাঝে ১১ জন। আর এখানেই শঙ্কা
প্রকাশ করেছেন অন্যান্য তারকারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারের বড়
তারকা কেলেব ড্রেসেলের শঙ্কা এবারের অলিম্পিক্সের সাঁতারে ‘লেভেল প্লেয়িং
ফিল্ড’ থাকছে না।
সবচেয়ে বিষ্ময়কর ইস্যু, বৈশ্বিক অ্যান্টি ডোপিং
সংস্থা (ওয়াডা) নিজেই চলতি মাসে এক প্রতিবেদনে চীনা সাঁতারুদের ডোপিং কা-ে
পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারপরেও তাদের এবারের অলিম্পিকে অংশ
নেয়ার ইস্যুতে বাঁধা দেয়নি সংস্থাটি।
আর তাতে ক্ষিপ্ত অস্ট্রেলিয়ার
সাঁতারু জ্যাক স্ট্যাবলেটি-কুক। ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে চীনের
বিশ্বরেকর্ডধারী সাঁতারু কুইন হাইয়াংয়ের বিপক্ষে লড়ার পর ডোপ টেস্টে অংশ
নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে অন্য সাঁতারুদেরও এমন
প্রতিবাদে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান এই সোনাজয়ী তারকা।
তবে চীনা
সাঁতারুদের মতো সৌভাগ্য নেই রোমানিয়ার অ্যাথলেট ফ্লোরেন্টিনা ইউস্কোর। গত
বছর এপ্রিলে ডোপ পরীক্ষা হয়েছিল ইউস্কোর। কোনও প্রতিযোগিতা ছাড়াই একটি ডোপ
পরীক্ষা হয়েছিল তার। সেই সময় শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া
গিয়েছিল। দু’টি পরীক্ষাতে ইউস্কো ডোপ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
রিপোর্ট
আসার পর রোমানিয়ার অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা এই বছর ১ ফেব্রুয়ারি ইউস্কোকে
নির্বাসিত করেছিল। কিন্তু সেখানে উল্লেখ করা ছিল না কত দিনের জন্য তাকে
নির্বাসিত করা হয়েছে। বলা হয়েছিল ইউস্কো না জেনে নিষিদ্ধ ওষুধ খেয়ে
ফেলেছিলেন। কিন্তু বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা (ওয়াডা) সেই সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে মামলা করে কোর্ট অফ আরবিট্রেসন ফর স্পোর্টে (সিএএস)।
সিএএস
জানিয়েছে যে, ইউস্কো না জেনে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।
সেই কারণে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে এই অ্যাথলেটকে। যে শাস্তির
শুরু ধরা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। ফলে প্যারিস অলিম্পিক্সে নামা হচ্ছে না
ইউস্কোর।