কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দক্ষিণ চান্দলা রামচন্দ্রপুর এলাকায় গত শনিবার রাতে
সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন গুরুতর আহত হয়। সে ঘটনায় নাছির খানের স্ত্রী আসমা
আক্তার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার
সূত্রে এবং বাদী আসমা আক্তার জানান, দক্ষিণ চান্দলা রামচন্দ্রপুর এলাকার
মৃত বজলু মিয়ার ছেলে মোতালেব গংদের সাথে আমাদের পরিবার ও আমার দেবর মৃত্যু
ফরিদ আহমেদ খানের ছেলে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে
বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়ের জের ধরে শত্রুতা চলে আসছে, সে ঘটনার প্রেক্ষিতে
গত শনিবার রাতে আমাদের বাড়িতে দা,ছেনা,চায়নিজ কুড়াল লাঠি নিয়ে অনাধিকার
ভাবে প্রবেশ করে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী মিলে আমাদের পরিবারের লোকদের উপর
হামলা চালায়, সেই হামলায় আমার দেবর আলাউদ্দিন খান,ভাতিজা রোকনুজ্জামানের
খানের ছেলে মোঃ রুহের খান, মৃত রেহান উদ্দিনের ছেলে শরিফ খান গুরুতর আহত
হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং ঘরে ঢুকে আলমারিতে
থাকা নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে
স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আমার দেবর আলাউদ্দিনের
অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে প্রথমে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে
গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা
পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন
রয়েছে।হামলাকারীরা হলেন দক্ষিন চান্দলা রামচন্দ্রপুর এলাকার মোতালেব মিয়ার
ছেলে মোঃ মিশা তার ভাই মোঃ সুজন মিয়া,মনু মিয়ার ছেলে মোঃ রাকিব তার ভাই
শাকিব ও ইকবাল হোসেন, রেনু মিয়ার ছেলে মোঃ সম্রাজ ও টিটু মিয়া, শরীফ মিয়ার
ছেলে মোহাম্মদ মেহেদী, আলী আজম এর ছেলে মোঃ রুবেল ও তার ভাই কামাল হোসেন,
জোলহাস মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম ও তার ভাই ফটো মিয়া, মৃত্যু বজলু মিয়ার
ছেলে মোতালেব হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা ১৫- ২০ জন মিলে এ হামলা চালায়।
এই ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।