প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত নারী অধিনায়ক। ফাইল ছবি
নারী এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন শ্রীলঙ্কায়। মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের পরপরই বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। দশ দলের এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে আয়োজনের কমতি রাখছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ঢাকা ও সিলেটে মেগা টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে। দুই ভেন্যুতে সেভাবেই চলছিল প্রস্তুতির কাজ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে গেল কয়েক দিনের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নিচ্ছে সেটি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে আইসিসিও। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আইসিসির বার্ষিক সভায় এ নিয়ে কথা বলেন কর্মকর্তারা। আইসিসির একটি সূত্র ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘আমরা (বাংলাদেশের) পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যদিও এখনও টুর্নামেন্ট শুরু হতে বেশ সময় বাকি আছে।’
এবার ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আশ্বস্ত করলেন বিসিবি কর্তৃপক্ষও। আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে আন্দোলনের কোনো ধরণের প্রভাব পড়বে না বলে জানান বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
নাদেল বলেন, 'তেমন কিছু বলেনি (আইসিসি), কোনো শঙ্কাও নেই। আমাদের এখানে সবকিছু ঠিক আছে, সামান্যতম শঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমাদের প্রস্তুতির দিক থেকে আগের মতোই এগোনো হবে।'
'আইসিসির মিটিং ছিল কয়েক দিন আগে। মিটিংয়ে আমাদের সিইও ছিল, ঠিক সে সময়ে তো এই সহিংসতা হয়েছিল। যে কারণে আইসিসি হয়তো জিজ্ঞেস করেছে আর সিইও তার মতো উত্তর দিয়েছে। আর এখন তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নির্দিষ্ট সময়েই মাঠে গড়াবে, কোনো শঙ্কা নেই।'-যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩ অক্টোবর শুরু হবে এবারের নারী বিশ্বকাপ। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০ অক্টোবর। ‘এ’ গ্রুপে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাছাইপর্বের একটি দল। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাছাইপর্ব উৎরে আসা এক দল।
আসন্ন বিশ্বকাপে সর্বমোট ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু বিকেএসপি। বিশ্বকাপের মূল ম্যাচগুলো হবে মিরপুর হোম অব ক্রিকেট ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড ২-তে।