হোমনা
প্রতিনিধি: কুমিল্লার হোমনায় এলাকার আধিপত্য ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ
নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা
হলেন, সাগর মিয়া, আমেনা বেগম,মামুন মিয়া, মাহফুজ মিয়া, ইয়াসিন,শান্তি
মিয়া, মোসলেম মিয়া, নয়ন মিয়া, ইব্রাহিম ও মানিক মিয়া। এদেরকে হোমনা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাগর মিয়া ও আমেনা বেগমকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। গত বুধবার ভোরে ঘারমোড়া ইউনিয়নের
পোড়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বড়
ঘারমোড়া ইউনিয়নের পোড়াকান্দা গ্রামের মামুন মিয়া একই গ্রামের
পার্শ্ববর্তী বাড়ির হবি মিয়ার জায়গায় বালু ভরাট করার জন্য চুক্তি করে
শ্যালো ড্রেজার (বোট) ভাড়া করে। এতে বাগাইকান্দা গ্রামের ড্রেজার
ব্যবসায়ী মো. সাগর মিয়া বাধাদেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে সাগর মিয়া ও আমেনা বেগমকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হোমনা থানায় মামলা হলে হোমনা থানা পুলিশ মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করে।
এ
দিকে এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সাগর গ্রুপের লোকজন মামুন গ্রুপের মোহাম্মদ
নামের একজনকে রাস্তায় একা পেয়ে মেরে পা ভেঙ্গে দিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে ঢাকার পুঙ্গ হাসপাতালে প্রেরন
করা হয়।
এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা
ঘটে যেতে পারে বলে এলাকাবাসি আশঙ্কা করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেছেন।
এ বিষয়ে হোমনা থানার এ এস আই মুঞ্জুর জানান, এলাকার শান্তি
শৃঙ্খলার লক্ষে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য সবাইকে বলেছি।
বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান,
বোটের বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মামুন ও সাগর গ্রুপের মধ্যে মারামারি
হয়েছে। এতে সাগর মারত্মক ভাবে আহত হয়েছে।
থানায় মামলা হয়েছে মামুন কে
গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাগরের
লোকজন একজনকে মারধর করেছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে
পরিবেশ শান্ত রয়েছে।