যারা
জিতবে তারাই চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে, হারলে পত্রপাঠ বিদায়। অলিম্পিক
ফুটবলের এমন ম্যাচে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল ইউক্রেন। তবে হাভিয়ের
মাসচেরানোর দলের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না তারা। ইউক্রেনকে ২-০ গোলে উড়িয়ে
কোয়ার্টারে নাম লিখিয়েছে আর্জেন্টিনা। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স।
ম্যাচের
প্রথমার্ধে দুই দলই ছন্দহীন ফুটবল উপহার দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘুরে
দাঁড়ায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জালের দেখা পায় তারা। এরপর
আক্রমণে ইউক্রেন আধিপত্য দেখালেও শেষ দিকে উল্টো হজম করলো আরেকটি গোল। তাতে
স্বস্তির জয়ে শেষ আটের টিকিট কাটে দুইবারের সোনাজয়ীরা।
মঙ্গলবার
(৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে ফ্রান্সের লিওনে ম্যাচের শুরু থেকেই ইউক্রেনের
রক্ষণে আক্রমণ করতে থাকে আর্জেন্টিনা। একাদশ মিনিটে একটি ভালো সুযোগ
পেয়েছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ। তবে তার শট লক্ষ্যে থাকেনি। এরপর থেকে ইউক্রেন
পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের
শুরুতেই গোছালো ফুটবল উপহার দেয় আর্জেন্টিনা। তাতে ডেডলক ভাঙেন থিয়াগো
আলমাদা। একক প্রচেষ্টায় দলকে এগিয়ে নেন আলমাদা। মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে এগিয়ে
এসে বক্সের উপরে জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের দৃষ্টিনন্দন জোরালো শটে জাল
খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।
গোল খেয়ে আহত বাঘের মতো আক্রমণ করতে থাকে
ইউক্রেন। ৭৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করে তারা। ওলেহ
ওচেরেতকোর শট রুখে দেন আর্জেন্টিনার এক ডিফেন্ডার। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর
কোনো গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যাচের চূড়ান্ত ফয়সালা
করে দেন ক্লাওদিও এচেভেরি। কেভিন হেনোনের শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে আটকালেও বল
গ্লাভসে জমাতে পারেননি। আলগা বল কোনাকুনি শটে জালে জড়িয়ে দেন এই তরুণ
ফরোয়ার্ড।
অন্য ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে গ্রুপ
চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটের টিকিট কেটেছে মরক্কো। আর্জেন্টিনার সমান ৬ পয়েন্ট
হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে মরক্কো।
শেষ রাউন্ডের
আগে গ্রুপের চার দলের পয়েন্ট ছিল সমান। কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট তাই সবার
জন্য ছিল উন্মুক্ত। তাতে শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে আর্জেন্টিনা ও মরক্কো চলে গেছে
কোয়ার্টারে। আর গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে ইউক্রেন ও ইরাক।