গাজীপুরের
শ্রীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মো. জাহাঙ্গীর
আলম (৪৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার চন্নাপাড়া
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়।
তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি চন্নাপাড়া গ্রামের মো. কাজল মিয়ার
বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই গ্রামের মক্কা-মদিনা স্পিনিং কারখানার সামনে লেপ-তোশক
তৈরির কাজ করতেন। কাজল মিয়া তাঁর আত্মীয়।
কাজল মিয়া সন্ধ্যায় মুঠোফোনে
বলেন, পুলিশ ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে জাহাঙ্গীর
আলম দোকানে ছিলেন। বেলা তিনটার দিকে তিনি খবর পান, সড়কে জাহাঙ্গীরের লাশ
পড়ে আছে। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য মাওনা
চৌরাস্তার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, ‘গুলিতে
নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে পারিনি।’
এদিকে সন্ধ্যা সোয়া
সাতটার দিকে সংবাদকর্মীরা নিহত ব্যক্তির ভাড়া বাসার দিকে যাওয়ার চেষ্টা
করলে মাওনা-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কে বিক্ষোভকারীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান
করতে দেখা যায়। এ সময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা ছবি তোলার সময় কয়েকজন
গণমাধ্যমকর্মীকে ধাওয়া দেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একজন সমন্বয়ক ইসরাত জাহান দাবি করেন, আজ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শ্রীপুর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ‘রাস্তায় পড়ে গিয়ে
ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে
না। আমরা ব্যস্ত আছি।’