বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
২ মাঘ ১৪৩১
বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিসিনিয়েআমারচিন্তা
ড. কামরুলহাসানমামুন
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪, ২:১৩ এএম |

  বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিসিনিয়েআমারচিন্তা
পাবলিকবিশ্ববিদ্যালয়এবংউপাচার্য পদ নিয়েআমারসুনির্দিষ্ট কিছুভাবনাআছে। সেইভাবনারবাস্তবায়ন সম্ভব, যদি কেউ আন্তরিকহন। যদিওভিসিহওয়ারব্যাপারেআমারআগ্রহ নেইবললেইচলে। কিন্তু যিনিভিসিহবেনতিনিযদি এইসববিষয়মাথায়রাখেনতবেবিশ্ববিদ্যালয়েশিক্ষারমানআরওমজবুতহবেএবংশিক্ষার্থীদেরজীবন মঙ্গলময় হবে।
আমারভাবনাহলো, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়হবেশিক্ষার্থীদেরবিশ্ববিদ্যালয়। একটিবিশ্ববিদ্যালয়েরক্যাম্পাসে কেবলশিক্ষার্থীদেরআবাসিকব্যবস্থা থাকবেএবং থাকাউচিতবলেআমিমনেকরি। কিন্তু ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়তথাবাংলাদেশের সব পাবলিকবিশ্ববিদ্যালয়হয়ে উঠেছে শিক্ষককর্মচারীদেরআবাসিকএলাকা।
যেই দেশেরশিক্ষার্থীরা অপ্রতুলআবাসিকসুবিধারকারণেঅমানবিকভাবেছাত্রাবাসে থাকে সেখানেশিক্ষককর্মকর্তাদেরজন্য বিলাসীআবাসিকভবনকিমানায়? শিক্ষার্থীরা হলেরগণরুমে, হলের ছাদে, বারান্দায়অনিরাপদ অবস্থায়রাত্রিযাপনকরে জেনেওআমরাশিক্ষকহয়ে ওই একই ক্যাম্পাসেবিলাসীভবনেকীভাবেশীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে ঘুমাই?  
প্রথমবর্ষেইশিক্ষার্থীদেরআবাসিকসুবিধানিশ্চিতকরাজরুরি। কারণপ্রথমবর্ষটাইশিক্ষার্থীদেরসবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ছিটকেপড়ে গেলে উঠে দাঁড়ানোপ্রায় অসম্ভব হয়েপড়ে। সেইজায়গায়আমাদেরপ্রথমবর্ষেরশিক্ষার্থীরা যে পরিমাণনির্যাতনেরশিকার হয় তাঅকল্পনীয়। অথচ এইসবআমরা জেনেওমুখেকুলুপএঁটে থাকি।
শুধুতাইনাপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাশিক্ষকরানির্যাতনকারীশিক্ষার্থীদের সব ধরনেরসাপোর্ট দিয়েযায়। ভাবাযায়, সরকারি দলের ছাত্রনেতাএকাএকটিশীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকে! এমনকি কেউ কেউ পাশেরআরেকটিরুমকেড্রয়িংরুমহিসেবেওব্যবহারকরে থাকে। এইসবকিপ্রভোস্টেরপ্রশ্রয়ছাড়া সম্ভব? 
আমিভিসিহলে ৪ বছরেরঅনার্সকেই টার্মিনালডিগ্রিহিসেবেকার্যকরকরতাম। চাকরিরনিয়োগকর্তাদের বোঝাতামবিসিএস থেকে শুরুকরে সব ধরনেরচাকরিরজন্য ৪ বছরেরঅনার্সইযথেষ্ট। একে সফলকরতেপারলেশিক্ষার্থীদেরআবাসিকসংকটঅনেকটা কেটে যাবে।
মাস্টার্স করবেনির্ধারিতশিক্ষার্থীরা যারাএকাডেমিয়াতেবাউচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেশিক্ষকতাবাগবেষণাকেক্যারিয়ারহিসেবে নেবে। জীবনটা ছোট। কেনসবাইমাস্টার্স করেজীবনের শ্রেষ্ঠসময়ের দেড় থেকে দুইবছরবাততোধিকসময়অপচয়করবে?
আমারভাবনাহলো, শিক্ষার্থীদেরজন্য প্রতিটিক্যাম্পাসেউন্নতমানেরক্যাফেটেরিয়ানির্মাণজরুরি, যেখানেসকাল থেকে বিকালপর্যন্তশিক্ষার্থীরা খাওয়া-দাওয়াকরতেপারে। নিজেরালাইনধরে ট্রেতে খাবারএনেআবারখাবার শেষে ট্রে নির্দিষ্ট স্থানে রেখেচলেযাবে। সেইক্যাফেটেরিয়াতেছাত্রএবংশিক্ষকদেরজন্য নির্ধারিত কোনো স্থান থাকবেনা। ছাত্র-শিক্ষক একত্রে একই স্থানেবসেখাওয়াদাওয়াকরবেযাতেছাত্র-শিক্ষকদেরমাঝেসুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
উন্নতমানেরজিমনেসিয়ামেরব্যবস্থা করাআবশ্যককারণউন্নতমনেরজন্য অবশ্যইভালো স্বাস্থ্য প্রয়োজন। এছাড়াশিক্ষার্থীরা সারাবছরজুড়ে যেনসাংস্কৃতিককর্মকা-ে থাকতেপারেতারসুযোগবৃদ্ধি করতাম। লাইব্রেরিকেআরওউন্নতকরতাম। বিশেষকরেলাইব্রেরিকে সেন্ট্রালভাবেশীতাতপনিয়ন্ত্রিতকরতামযাতেশিক্ষার্থীরা আরামেপড়াশোনাকরতেপারেএবং এতে বইগুলোভালোভাবেসংরক্ষিতহতো।
আমারভাবনাহলো, বিশ্ববিদ্যালয়েরভিসিরা থাকবেপ্রচ্ছন্নভাবে, সক্রিয়নয়। বিশ্ববিদ্যালয়েরওয়েবসাইটেবাতাদেরআলাদাবার্তা থাকবেনা। তাছাড়াদ্বিতীয় ও তৃতীয় পরীক্ষকের বর্তমান যেইপদ্ধতিআছেতাবন্ধকরাজরুরি। এতে সময় ক্ষেপণবন্ধহতো। মনেরাখতেহবে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরজীবন থেকে একটিমাসওযদি বাঁচানোযায়, তাই মঙ্গল।
শিক্ষার্থীদের এই বয়সেরপ্রতিটাদিনই গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষক যে কোর্স পড়াবেনতিনিইপ্রশ্নকরবেনএবংতিনিইউত্তরপত্রমূল্যায়নকরবেন। বাকিদেরপ্রয়োজন নেই। 
আমারভাবনায়ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ৭ কলেজের যুক্ত থাকারপ্রয়োজন নেই। আমিবরংসরকারকেউপদেশদিতামজাতীয়বিশ্ববিদ্যালয়কেকলকাতাবিশ্ববিদ্যালয়েরমতো তৈরিকরা হোক, যারঅধীনে এই সাতটিকলেজসহঢাকারবাইরেরআরওকিছুবড়বড়কলেজকেএফিলিয়েটেডকলেজবানানোহবে। এই কলেজগুলোয় কেবল ৪ বছরেরঅনার্স পড়ানোহবেআরমাস্টার্স করবেজাতীয়বিশ্ববিদ্যালয়েরক্যাম্পাসে।
কলেজগুলোয় উচ্চ মাধ্যমিকএবংডিগ্রি (পাসকোর্স) থাকবেনা। বাদবাকিবাংলাদেশের কোনোকলেজেঅনার্স পড়ানোহবেনা। সেইকলেজগুলোয় কেবলএইচএসসি ও ডিগ্রি (পাসকোর্স) থাকবে। এইচএসসিহলোখুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কলেজেঅনার্স থাকায়এইচএসসিঅবহেলিতহচ্ছে। 
আমারভাবনায়ভিসির ক্ষমতার দরকার নেই। বিশেষকরেশিক্ষকনিয়োগ ও প্রমোশনেরনীতিমালাকেসম্পূর্ণ ঢেলেসাজানোজরুরি। শিক্ষকনিয়োগেকমপক্ষে ৩টি স্তররাখতাম। প্রতিটি স্তরেশর্টলিস্ট করাহবেএবংসবশেষেভিসিবা প্রোভিসিসহএকটি সেরেমনিয়াল বোর্ডে নিয়োগচূড়ান্তহওয়ারব্যবস্থা করতাম। কয়েকটি স্তর থাকলে দলীয়করণ, নেপোটিজমইত্যাদি বন্ধহয়ে যেত।
শিক্ষকনিয়োগ ও প্রোমোশনেরবিষয়টাসংশ্লিষ্টবিভাগএবংসংশ্লিষ্টঅনুষদেরকাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজেভিসিদের সম্পৃক্ত থাকারকারণেভিসিরাসার্বিকভাবেবিশ্ববিদ্যালয়কেকীভাবে নেতৃত্ব দিয়েউন্নতকরাযায় সেইসবনিয়েভাববারসময়পাননা।
আমিভিসিহলেবিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদেরনিয়েসংবাদ সম্মেলনকরেবিশ্ববিদ্যালয়েরবাজেটবরাদ্দবর্তমানেযা দেওয়া হয় ন্যূনতমতার থেকে তিন-চারগুণ বেশিবরাদ্দেরজন্য জোরালো দাবিজানতামএবং একই সাথে সব শিক্ষকদেরজন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিকরতাম। 
এইসবপড়েআপনাদেরধারণাহতেপারেআমিবুঝিবিশ্ববিদ্যালয়েরভিসিহওয়ারপ্রতিযোগিতায় নেমেছি। একদমইনা। আমারপ্রশাসনেযাওয়ার ইচ্ছে নেই।
আমিআমারভাবনাগুলোএকজনপরামর্শকহিসেবেজানালাম। কেউ যদি কোনোভাবে লেখাটিপড়েএকটুহলেওউৎসাহিতহয়ে এর কিছুবাস্তবায়নকরার চেষ্টাকরেনতাহলেই এই লেখার সার্থকতা। আমিজীবনেকিছুপাওয়ারজন্য বাপদপদবিরজন্য কিংবাচাকরির ক্ষেত্রে প্রোমোশনেরজন্য দৌড়াইনিএবং দৌড়াবনা। নিজের শক্ত মেরুদ-নিয়ে বেঁচে থাকারআনন্দই আলাদা। আমিশিক্ষকহিসেবেশিক্ষার্থীদেরপড়িয়েআনন্দ পাই, সে জায়গায় থাকতেচাই।
লেখক:অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়












সর্বশেষ সংবাদ
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ
কুমিল্লার দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপের’অন্যতম সদস্য মাইনুদ্দিন আটক
দুটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী আটক
কুমিল্লায় দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লা মেডিকেল ছেড়ে কোথায় গেলো শিশুটি?
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় তিন প্রতিষ্ঠানকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে পুলিশে সোপর্দ
প্লাস্টিক জমা দিন গাছের চারা নিন
কুমিল্লায় ‘প্রেমিকের’ সাথে দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দুই নারী
কুমিল্লার দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপের’অন্যতম সদস্য মাইনুদ্দিন আটক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২